অস্ট্রেলিয়ায় ভোট প্রদান করা বাধ্যতামূলক। এতে ব্যর্থ হলে জরিমানা করা হতে পারে। আর, একবারই ভোট দেওয়া যাবে।
১৮ বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী নাগরিকেরা এ বিষয়ে তাদের অভিমত জানাবেন ‘ইয়েস’কিংবা ‘নো’ ভোট প্রদানের মাধ্যমে। ব্যালট পেপারের নির্ধারিত অংশে ‘ইয়েস’কিংবা ‘নো’ইংরেজিতে লিখতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ভুল হয়ে গেলে আরেকটি ব্যালট পেপার চেয়ে নেওয়া যাবে এবং ভোট দেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেনসাস বা জনশুমারি রিপোর্ট অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় ৭০ হাজারের বেশি বাংলাভাষী বাস করেন। তারা এ সম্পর্কে কী ভাবছেন? এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো তাদেরকে প্রভাবিত করছে?
এ নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম বাংলাভাষী কয়েকজনের সঙ্গে।
অস্ট্রেলিয়ান ক্যাথোলিক ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার ইন পাবলিক হেলথ-এর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এঞোয়াই প্রু এমু ভয়েস রেফারেন্ডাম সম্পর্কে জানেন। তবে, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক না হওয়ায় তিনি ভোট দিতে পারবেন না।
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী জনগোষ্ঠী থেকে আসা এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, রেফারেন্ডামের প্রশ্নটিতে কিছু কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয় নি।
তবে, সংবিধানে পরিবর্তন আসুক, এটাই চান এমু।
ভয়েস রেফারেন্ডামের বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না সিডনির রায়হান আব্দুল্লাহ। প্রায় ২০ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন তিনি। ভোট দেওয়ার আগে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন, বলেন তিনি।
মেলবোর্নের ফাহমিদ আহসান অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। ভয়েস রেফারেন্ডাম সম্পর্কে তিনি জানেন এবং ভোট দিবেন বলেছেন।
মেলবোর্নের বাসিন্দা, ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট মিতা চৌধুরী গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিবেন বলে জানান।
‘না’ ভোটের পক্ষ নিয়ে এসবিএস নেপালি-কে শ্রী নেপিট বলেন, এই গণভোটটি আইনী দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ।
এসবিএস নেপালি-কে এ সম্পর্কে পিজে শ্রেষ্ঠ বলেন, তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান এ সম্পর্কে জানার জন্য এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য।
ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোটে পাশ হতে হলে বেশিরভাগ ভোটারের ভোট পাওয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ছয়টি স্টেটের মধ্যে বেশিরভাগ স্টেটে, অর্থাৎ, অন্তত চারটি স্টেটে বেশিরভাগ ভোট পেতে হবে।
সাংবিধানিক এই স্বীকৃতির বিষয়টি তিন-ধাপের একটি প্রক্রিয়ার অংশ। গণভোটের মাধ্যমে এটি শুরু হচ্ছে এবং এর পরে ট্রুথ-টেলিং ও ট্রিটি এতে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এই প্রতিবেদনে উপস্থাপিত সাক্ষাৎকারগুলোতে যেসব মতামত প্রতিফলিত হয়েছে, সেগুলো শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অভিমত। অবধারিতভাবেই, এগুলো অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাভাষী কিংবা নেপালী জনগোষ্ঠীর সবার মতামতের প্রতিনিধিত্ব করে না।
এ বিষয়ে বিভিন্ন ভাষায় নিয়মিত তথ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে এসবিএস। এ সম্পর্কে আপ-টু-ডেট বা হাল নাগাদ তথ্য জানার জন্য ভিজিট করুন: www.sbs.com.au/voicereferendum
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে ও নতুন সময়ে যাচ্ছে SBS Bangla Credit: SBS
প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।
কিংবা, বিদ্যমান সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ তে।