রেফারেন্ডাম বা গণভোট কী এবং তা কীভাবে কাজ করে?

Australian Commonwealth celebrations

The inauguration of the Australian Commonwealth. When the Constitution of Australia came into force, on 1st January 1901, the colonies collectively became states of the Commonwealth of Australia. Celebrations included Sydney post-office illuminated with the lettering 'Welcome to Our Governor General, God Save the Queen'. Drawing by C H Hunt reproduced in The Illustrated London News, 16th February 1901 page 225 1901 Source: AAP / Illustrated London News Ltd/Mar/MARY EVANS

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজি ইন্ডিজেনাস ভয়েস টু পার্লামেন্টের জন্যে প্রতিশ্রুত গণভোটের জিজ্ঞাস্য কী হবে তা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন। ১৯৯৯ সালের পর এটি হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম গণভোট এবং ৪২ বছরের কম বয়সী ভোটারদের জন্যে তা হবে কোনো গণভোটে প্রথমবার ভোট দেয়ার সুযোগ। গণভোট কী এবং অস্ট্রেলিয়ায় তা কীভাবে কাজ করে, এ নিয়ে শুনুন একটি প্রতিবেদন।


১৯০১ সালের প্রথম দিনে সিডনির সেন্টেনিয়াল পার্কে ৬০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল আজকের অস্ট্রেলিয়া রাষ্ট্রের সূচনা প্রত্যক্ষ করতে।

সেদিন রাণীর পক্ষ থেকে ঘোষণা পাঠ করা হয়েছিল, মন্ত্রীরা শপথ নেন এবং ২১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে ছয়টি পৃথক উপনিবেশকে এক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই নতুন জাতি কীভাবে পরিচালিত হবে তার জন্য নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছিল সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে।

অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি ইলেক্টোরাল কমিশনার জেফ পোপ ব্যাখ্যা করে বলেন, এই সংবিধান পরিবর্তন করার একমাত্র উপায় হল গণভোট। কারণ এটিই যেহেতু অস্ট্রেলিয়াকে পরিচালিত করে, তাই এতে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে জনগণের উচিত গুরুত্বের সাথে তা বিবেচনা করা।

তবে জনগণ ভোট দেয়ার আগে অবশ্যই সংসদ সদস্যদের ভোট দিতে হবে।

প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলির রূপরেখাযুক্ত একটি বিল অবশ্যই সংসদের উভয় কক্ষে একবার করে বা যে কোনো কক্ষে দু'বার পাস করতে হবে। তারপরে এ বিষয়ে একটি গণভোট আহ্বান করতে হবে, যেটি কোনোভাবেই দুই মাসের আগে এবং ছয় মাসের পরে হওয়া যাবে না।

সাধারণ নির্বাচনের মতোই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের সমস্ত নাগরিকের জন্য এই ভোট দেওয়াও বাধ্যতামূলক।

প্রতিটি ভোটারকে একটি ব্যালট পেপার দেওয়া হবে যাতে তারা প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি অনুমোদন করেন কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হবে।

ভোটারদের অবশ্যই ব্যালট পেপারে হ্যাঁ অথবা না লিখে উত্তর দিতে হবে।

গণভোট সফল করতে হলে তা দ্বৈত সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে।

এর অর্থ হচ্ছে সারা দেশের সমস্ত ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ছয়টি স্টেটের মধ্যে কমপক্ষে চারটি স্টেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের অবশ্যই সংশোধনীতে সম্মত হতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি ও নর্দার্ন টেরিটরিসহ অন্য যে কোনও টেরিটরির ভোট কেবল ন্যাশনাল মেজরিটি বা জাতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজনে গণনা করা হয়।

সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর গত ১২২ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ানরা এটি পরিবর্তন করতে কখনোই খুব বেশি ইচ্ছুক ছিল না।

আজ পর্যন্ত ৪৪ বার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র আটটি।

সম্পূর্ণ অডিও প্রতিবেদনটি শুনতে ক্লিক করুন উপরের অডিও প্লেয়ার বাটনে।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।

রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 


Share