১৯০১ সালের প্রথম দিনে সিডনির সেন্টেনিয়াল পার্কে ৬০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল আজকের অস্ট্রেলিয়া রাষ্ট্রের সূচনা প্রত্যক্ষ করতে।
সেদিন রাণীর পক্ষ থেকে ঘোষণা পাঠ করা হয়েছিল, মন্ত্রীরা শপথ নেন এবং ২১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে ছয়টি পৃথক উপনিবেশকে এক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
এই নতুন জাতি কীভাবে পরিচালিত হবে তার জন্য নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছিল সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে।
অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি ইলেক্টোরাল কমিশনার জেফ পোপ ব্যাখ্যা করে বলেন, এই সংবিধান পরিবর্তন করার একমাত্র উপায় হল গণভোট। কারণ এটিই যেহেতু অস্ট্রেলিয়াকে পরিচালিত করে, তাই এতে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে জনগণের উচিত গুরুত্বের সাথে তা বিবেচনা করা।
তবে জনগণ ভোট দেয়ার আগে অবশ্যই সংসদ সদস্যদের ভোট দিতে হবে।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলির রূপরেখাযুক্ত একটি বিল অবশ্যই সংসদের উভয় কক্ষে একবার করে বা যে কোনো কক্ষে দু'বার পাস করতে হবে। তারপরে এ বিষয়ে একটি গণভোট আহ্বান করতে হবে, যেটি কোনোভাবেই দুই মাসের আগে এবং ছয় মাসের পরে হওয়া যাবে না।
সাধারণ নির্বাচনের মতোই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের সমস্ত নাগরিকের জন্য এই ভোট দেওয়াও বাধ্যতামূলক।
প্রতিটি ভোটারকে একটি ব্যালট পেপার দেওয়া হবে যাতে তারা প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি অনুমোদন করেন কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হবে।
ভোটারদের অবশ্যই ব্যালট পেপারে হ্যাঁ অথবা না লিখে উত্তর দিতে হবে।
গণভোট সফল করতে হলে তা দ্বৈত সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে।
এর অর্থ হচ্ছে সারা দেশের সমস্ত ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ছয়টি স্টেটের মধ্যে কমপক্ষে চারটি স্টেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের অবশ্যই সংশোধনীতে সম্মত হতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি ও নর্দার্ন টেরিটরিসহ অন্য যে কোনও টেরিটরির ভোট কেবল ন্যাশনাল মেজরিটি বা জাতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজনে গণনা করা হয়।
সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর গত ১২২ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ানরা এটি পরিবর্তন করতে কখনোই খুব বেশি ইচ্ছুক ছিল না।
আজ পর্যন্ত ৪৪ বার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র আটটি।
সম্পূর্ণ অডিও প্রতিবেদনটি শুনতে ক্লিক করুন উপরের অডিও প্লেয়ার বাটনে।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।