গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- এ বছরের শেষ নাগাদ গণভোটে অংশ নিতে ১৭ মিলিয়নেরও বেশি ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
- ভয়েস রেফারেন্ডাম বিল পাশ হওয়ার ফলে ভোটের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
- আজ (১৯ জুন, ২০২৩) থেকে আগামী দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যবর্তী সময়ে গণভোটের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
ইনডিজেনাস ভয়েস নিয়ে গণভোটের জন্য বিলটি সিনেটে ৫২-১৯ ভোটে পাশ হয়েছে। এখন, অস্ট্রেলিয়ানরা আগামী ছয় মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভয়েস টু পার্লামেন্টে ভোট দিবে।
গণভোটের আগে সংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে তার চূড়ান্ত প্রতিবন্ধকতাটি অতিক্রম করেছে সোমবার (১৯ জুন, ২০২৩)। অস্ট্রেলিয়ানরা এখন সিদ্ধান্ত নেবে ২০১৭ সালের উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্টের একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে ভয়েস-কে সংবিধানে অন্তুর্ভুক্ত করবে কিনা।
গণভোটে হ্যাঁ ভোটের প্রচারকারীরা ঘোষণা করেছেন “সংসদের কাজ শেষ”, বিতর্ক এখন সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য তৃণমূল পর্যায়ের চাপের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ান বিষয়ক মন্ত্রী লিন্ডা বার্নি বলেছেন যে, এই অগ্রগতির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধানে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং “এই মহান দেশকে আরও মহান” করার পথে “এক ধাপ কাছাকাছি” নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, “এটা হতে চলেছে ... আজ, রাজনৈতিক বিতর্ক শেষ হয়েছে। আজ আমরা কমিউনিটি পর্যায়ে একটি জাতীয় সংলাপ শুরু করতে পারি।”
“অনেক দিন ধরে, ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানরা ইনডিজেনাস নয় এমন অস্ট্রেলিয়ানদের থেকে ধারাবাহিকভাবে খারাপ অবস্থায় আছে ... এটি একটি ভঙ্গুর ব্যবস্থা। এবং ভয়েসই হলো এটি মেরামত করতে আমাদের সর্বোত্তম সুযোগ। কারণ, আমরা যখন সাধারণ লোকেদের কথা শুনি এবং স্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করি, তারা আরও ভাল সিদ্ধান্ত নেয় এবং আরও ভাল ফলাফল অর্জন করে।”
লেবার দল জোর দিচ্ছে যে, ভয়েস হবে সম্পূর্ণরূপে একটি উপদেষ্টা পরিষদ, যা ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানদের বিশেষভাবে প্রভাবিত করে এমন বিষয়ে সংসদ এবং সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ দেবে।
কিন্তু, এর কিছু সমালোচক দাবি করেন যে, প্রস্তাবটি ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে তারা যুক্তি দিচ্ছেন যে, এটি ইনডিজেনাসদের অপর্যাপ্ত ক্ষমতা দেবে।
এই শতাব্দীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ সময় পার হয়ে গেছে। এ সময়ে প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুন ২০২৩, সোমবারের পর দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে। তবে, প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থোনি অ্যালবানিজি বলছেন যে, এটি এই বছরেই অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, “আমাদের এই মহান জাতিকে আরও উঁচুতে তোলার সুযোগ জীবনে একবারই আসে।”
Independent Senator Lidia Thorpe reacts after the passing of the Voice to Parliament in the Senate chamber at Parliament House. Source: AAP / Lukas Coch
“ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য কিছু করার পরিবর্তে, ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে পরিবর্তন করার জন্য জন্য এটি আরও ভাল করার সুযোগ।”
রেফারেন্ডাম বিল সমর্থন করেছে কোয়ালিশন
ভয়েসের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও, সোমবার (১৯ জুন,২০২৩) সকালে কোয়ালিশন এই বিলটি সমর্থন করে।.
লিবারাল ফ্রন্টবেঞ্চার মাইকেলিয়া ক্যাশ যুক্তি দেন যে, ‘হ্যাঁ’ ভোট অস্ট্রেলিয়ার সংবিধানকে “অমোচনীয়ভাবে পরিবর্তন” করবে। তিনি দাবি করেন যে, “বিভাজনকারী” পরিষদটি কীভাবে কাজ করবে সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত বিশদ বিবরণ প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে লেবার দল।
তিনি বলেন, “[কিন্তু] আমরা এই জাতির জনগণকে বিশ্বাস করি, এবং এই বিষয়ে তাদের বলার অধিকার আছে।”
“এটি (ভয়েস) অজানা, এটি বিভাজনকারী এবং এটি স্থায়ী। আপনি যদি না জানেন যে, ভয়েস কীভাবে কাজ করবে, তাহলে আমার বিনীত অভিমত হলো: ‘না’ ভোট দিন।”
কোয়ালিশনের ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ান বিষয়ক মুখপাত্র জ্যাসিন্টা প্রাইস একজন ওয়ার্লপিরি/সেল্টিক নারী। তিনি যুক্তি দেন যে, গণভোটের পর বিস্তারিত বিবরণ বের করার জন্য সংসদ ত্যাগ করার আইনী ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী চান যে, আমরা তাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করি এবং তার ঝুঁকিপূর্ণ প্রস্তাবকে সংবিধানে চিরতরে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি দিই, যখন কিনা তিনি কোনো প্রকার গ্যারান্টি দিতে পারছেন না।”
কোয়ালিশনের কিছু সংখ্যক সদস্য এই বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এর ফলে গণভোট বিষয়ক আনুষ্ঠানিক পুস্তিকাগুলোতে তারা “না” বলার সুযোগ পাবেন। এসব পুস্তিকা আগামীতে ভোটারদের কাছে বিতরণ করা হবে।
“সত্যিকারের এই ঐতিহাসিক দিনটিকে” স্বাগত জানায় গ্রিনস দল
গ্রিনস দলের ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ান বিষয়ক মুখপাত্র ডোরিন্ডা কক্স বলেন, ফার্স্ট নেশনস অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য এটি “সত্যিই একটি ঐতিহাসিক দিন”। ভয়েসের আগে তিনি ট্রিটি অ্যান্ড ট্রুথ নিয়ে তার পছন্দের সঙ্গে আপোস করেছিলেন।
তিনি বলেন, “সংসদের কাজ শেষ। তৃণমূল পর্যায়ে ইয়েস প্রচারণা চালানোর সময় এসেছে। কমিউনিটিতে এবং সকল অস্ট্রেলিয়ানের মাঝে এটি ভাগ করে নেওয়ার সময় এসেছে যে, এই গণভোট কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংসদে ভয়েস কেন এত গুরুত্বপূর্ণ।”
Ms Burney, seated left, was present for the debate. Source: AAP / Lukas Coch
সিনেটর কক্স জোর দিয়েছেন যে, ভয়েস ইনডিজেনাসদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করবে না। তিনি বারবার ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিনেটর লিডিয়া থর্পের বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন, যিনি ভয়েস নিয়ে অবাধে প্রচারণা চালানোর জন্য গ্রিনস দল ত্যাগ করেছিলেন।
সিনেটর থর্প বারবার বলেন, “প্রমাণ করুন!”
লিডিয়া থর্প ভয়েসকে ‘জাল এবং ভান’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন
জ্যাবউরাং, গুনাই এবং গুন্দিতমারা নারী সিনেটর থর্প সোমবারকে (১৯ জুন, ২০২৩) “আত্তীকরণ দিবস” হিসেবে বর্ণনা করেন এবং অস্ট্রেলিয়ানদেরকে গণভোট বয়কট করার আহ্বান জানান।
কথা বলার জন্য, সিনেটর থর্প এই আইনটিকে “কফিনে চূড়ান্ত পেরেক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং অনুষ্ঠিতব্য গণভোটে তিনি 'না' ভোট দিবেন বলে অভিমত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের কোনো ক্ষমতা না দেওয়ার এই বিপর্যয়কর ধারণাকে আমি ‘না’ ভোট দেব।”
“কিন্তু আমি এমন কিছুকে সমর্থন করতে পারি না যা আমার জনগণকে কোনো ক্ষমতা দেয় না। আমি এমন কিছুকে সমর্থন করতে পারি না যেটি ক্ষমতাসীনদের দ্বারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
Minister for Indigenous Australians Linda Burney poses for a photo with 40 members of Jawun at Parliament House in Canberra. Source: AAP / Mick Tsikas
“হ্যাঁ, আমি এখানে বাঁধা দিতে এসেছি, খাঁচাগুলোকে ঝাঁকুনি দিতে, [এখানে] শেতাঙ্গ আধিপত্যকে ধ্বংস করার জন্য, যারা এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে।”
সংসদে বিতর্কের সময়ে সিনেটর থর্প ‘গ্যামিন’ লেখা একটি টি-শার্ট পরেছিলেন। সংসদের কাছে তিনি পুলিসের হেফাজতে থাকা ইনডিজেনাসদের মৃত্যুর বিষয়ে রয়্যাল কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য দাবি করেন।
Independent senator Lidia Thorpe reacts during debate on the Voice to Parliament in the Senate chamber at Parliament House. Source: AAP / Lukas Coch
“আমরা কতই না সুন্দর, হৃদয়গ্রাহী গল্প শুনেছি যে, এটি (ভয়েস) কীভাবে আমাদের জীবনকে ঠিক করে দেবে, এটা সবকিছু সমাধান করতে যাচ্ছে। এই গণভোট না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারবো না। অন্যদিকে, কারাগারে শিশুদের নির্যাতন করা হচ্ছে।”
সোমবারের (১৯ জুন, ২০২৩) বিতর্কের সময়ে বক্তৃতাকালে, লেবার ফ্রন্টবেঞ্চার ম্যালান্ডিরি ম্যাককার্থি অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতি “একটি ভাল ভবিষ্যতের জন্য” হ্যাঁ ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং বলেন যে, ভয়েস হবে ইনডিজেনাসদের কাছে “বড় চুক্তি”।
তিনি বলেন, “[ইনডিজেনাসরা] সমস্ত অস্ট্রেলিয়ানের কাছে পৌঁছাচ্ছে, আমাদের দেশের ইতিহাসে এই সময়টি নিয়ে গর্ব করতে পারি, যেখানে আমরা একে অপরকে উপরে তুলতে পারি।”
“যেখানে ফার্স্ট নেশন্স [প্রথম জনগোষ্ঠীগুলো] লোকেরা সম্পূর্ণ চিত্রের একটি অংশ হতে পারে এবং সেটা অনুভব করতে পারে।”
পলিন হ্যানসনের মন্তব্যের পর বিতর্কের সুর নিয়ে উদ্বেগ
“ওয়ান নেশন সিনেটর পলিন হ্যানসন অস্ট্রেলিয়ানদেরকে এই বলে আহ্বান জানান যে, “জিজ্ঞাসা করুন, কেন” স্টোলেন জেনারেশনের ঘটনা ঘটেছে। এরপর, সিনেটর ম্যাককার্থি স্বীকার করেন যে, তিনি আগামী মাসগুলোতে বিতর্কের সুর নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সিনেটর ম্যাককার্থি অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুরো বিতর্ক জুড়ে “নিজেদের ভাল দিকটি শুনতে”।
তিনি বলেন, “যা চলছে সেসব নিয়ে কিছু মন্তব্য শোনার পর, আমি কিছুটা উদ্বিগ্ন।”
Senator McCarthy conceded concern over the tenor of the debate, just moments after Pauline Hanson's (pictured) comments. Source: AAP / Lukas Coch
“এতে কেবল তখনই আমরা একটি দেশ হিসেবে নিজেদের ভাল কিছু দেখতে পারি, অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে নিজেরা ভাল কিছুর অংশ হতে পারি।”
সিনেটর হ্যানসন এর আগে দাবি করেছিলেন যে, স্টোলেন জেনারেশনস এর অনেকেই “বেঁচে থাকতে পারতো না” যদি না তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হতো।
তিনি বলেন, “আপনি জানেন, আপনি চুরি হওয়া প্রজন্মের কথা বলছেন। এটা সেই সময়ে ঘটেছিল। নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন?”
১৯৯৭ সালের ব্রিংগিং দেম হোম রিপোর্টে দেখা গেছে যে, ইনডিজেনাস শিশুদের তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া ছিল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, সেইসাথে ওই শিশুদের বংশধরদের জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তারা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগে এবং তাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
মিস্টার অ্যালবানিজি বলেন, তিনি সিনেটর হ্যানসনের মন্তব্য দেখেন নি, তবে ধরে নিয়েছেন যে, মিজ হ্যানসন অতীতে যা বলেছিলেন তার সঙ্গে সেগুলোর মিল আছে।
তিনি বলেন, “আমি তাদেরকে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাই না; কারণ, আমি মনে করি না যে, তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া লাভের যোগ্য। আমি বোর্ড জুড়ে সম্মানজনক বিতর্কের আহ্বান জানাবো।”
“লোকেরা যেভাবেই ভোট দিচ্ছেন না কেন, সমর্থকদের [উচিত] সত্যের সাথে লেগে থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা। তারা যা জানে তা সত্য নয়।”
লিন্ডা বার্নি বলেন, কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে ভয়েস
গণভোটগুলো তথাকথিত দ্বিগুণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দ্বারা পাশ করা হয়। একটি সামগ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে এবং বেশিরভাগ রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের মাধ্যমে। নর্দার্ন টেরিটোরি এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরিকে রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের ক্ষেত্রে গণনা করা হয় না।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিনেটর ডেভিড পোকক জোর দেন যে, এসিটি এবং নর্দার্ন টেরিটোরির বাসিন্দাদের সমান ভোট নেই।
গণভোটকে “ক্যানবেরা ভয়েস” হিসেবে তুলে ধরার জন্য কোয়ালিশনের প্রচেষ্টাকে “স্পষ্টভাবে অসত্য” বলে বর্ণনা করেন সিনেটর পোকক।
তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এটি অন্যতম প্রধান পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার ফলাফল … হ্যাঁ, এটা যদি ভঙ্গ করা না হয়, তবে এটি মেরামত করার দরকার নেই। কিন্তু, যদি এটি ভেঙ্গে যায়, তবে এটি ঠিক করা প্রয়োজন। এটি মেরামত করার এটাই একটি সুযোগ।”
২০১৭ সালে ইনডিজেনাস নেতৃবৃন্দের জারি করা এর একটি অনুরোধ ছিল সংসদে ইনডিজেনাসদের কণ্ঠস্বরের এই বিষয়টি।
হ্যাঁ কিংবা না ভোটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে এই বছরের শেষের দিকে একটি গণভোটে জিজ্ঞাসা করা হবে, তারা ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানদেরকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যাগুলোর বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য সংসদ এবং ফেডারেল সরকারকে একটি স্থায়ী ও স্বাধীন পরিষদ তৈরি করার জন্য সংবিধানের পরিবর্তনকে সমর্থন করে কিনা।
একটি সফল গণভোটের ক্ষেত্রে মডেলটির নকশা এবং বিবরণ সংসদে এমপিরা নির্ধারণ করবেন।
মিজ বার্নি বলেন তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রস্তাবটি একটি সার্কিট ব্রেকার হবে এবং অ্যাবোরিজিনাল ও টরে’ স্ট্রেইট জনগোষ্ঠীগুলোর লোকদের স্বাস্থ্য সমস্যা, আর্থ-সামাজিক সমস্যা এবং গড় আয়ুর প্রতি এর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
ক্লোজিং দ্য গ্যাপ টার্গেট-এর একটি আপডেটে দেখা যায়, স্বাস্থ্য, সামাজিক এবং সুস্থতার মেট্রিক্সে ইনডিজেনাস এবং অ-ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানদের মাঝে সুবিশাল ব্যাবধান রয়েছে। আপডেটটি গত সপ্তাহে (১৯ জুন, ২০২৩ এর আগে) প্রকাশিত হয়। এতে আরও দেখা যায় যে, ব্যাবধান কমানোর ।
তিনি বলেন যে, “এটি কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে এবং এটি ব্যবধান কমানোর মতো বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেবে।”
“ক্ষমতা নিহিত থাকে নীতির মাঝে। এটি শুরু করার জন্য (ক্ষমতার) ব্যাপক নৈতিক কর্তৃত্ব রয়েছে। নীতিগুলো নিয়ে চিন্তা করুন: এটি স্বাধীন হবে, এবং এটি কেবল সংসদকেই নয়, [ফেডারেল] সরকারকেও স্বাধীন পরামর্শ দেবে।
“এটি জবাবদিহিতামূলক হবে। এটি ভারসাম্যপূর্ণ হবে, এটি সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে হবে এবং এটি এখন বিদ্যমান কাঠামো এবং সংস্থাগুলোর মধ্যে বিদ্যমান থাকবে।”
“আমলাতন্ত্রকে বের করে আনুন”
গত বছরের নভেম্বরে ন্যাশনাল পার্টির নেতা ডেভিড লিটলপ্রাউড ঘোষণা করেছিলেন যে, ভয়েস টু পার্লামেন্ট-এ ‘নো’ ভোটের জন্য প্রচারণা চালাবে তার দল।
সেই সময়ে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি মনে করেন না যে, এই প্রস্তাবটি “সত্যিকারভাবে ব্যবধান দূর করবে”।
তিনি বলেন, তিনি এখনও সেই অবস্থানে আছেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে, সমাধানের জন্য সাংবিধানিকভাবে সংরক্ষিত ভয়েস টু পার্লামেন্টের প্রয়োজন নেই।
এবিসি রেডিওকে তিনি বলেন, “সরকারগুলো (ব্যবধান দূর করার) এই সমস্যাটির সমাধান করার জন্য বিলিয়ন ডলার ঢেলে দিয়েছে; কিন্তু, আমরা এটি ভুল উপায়ে করছি।”
তিনি বলেন, “সমতার অভিপ্রায় সর্বদাই ছিল, এটি কেবল কার্যকর করা”। তিনি স্বীকার করেন যে, ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে জোট সরকারের মাঝে তার দল এই সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে, যা কিনা ব্যর্থ পদ্ধতি ছিল।
“আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমি বলতে ভয় পাচ্ছি না যে, সরকারগুলোর যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে … আপনি যদি আমলাতন্ত্রকে এর থেকে বের করে আনেন তবে আমরা ব্যবধান দূর করতে পারি।”
তিনি বলেন, ভয়েস টু পার্লামেন্ট-এর প্রয়োজন ছাড়াই কমিউনিটি পর্যায়ে এর সমাধানের বিষয়টি জড়িত।
“আঞ্চলিক পর্যায়ে নয়, স্থানীয় কমিউনিটিতে এল্ডারদেরকে নিযুক্ত করা এবং তাদের ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন … এটি আমলাদেরকে ক্যানবেরা থেকে বের করে আনা এবং তাদের টাউন হল এবং ক্যাম্পফায়ারের চারপাশে রাখা এবং সেই এল্ডারদের কথা শোনার বিষয়।”