“আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে ভবিষ্যতে”

Biden Artificial Intelligence

President Joe Biden speaks about artificial intelligence in the Roosevelt Room of the White House, Friday, July 21, 2023, in Washington, as from left, Adam Selipsky, CEO of Amazon Web Services; Greg Brockman, President of OpenAI; Nick Clegg, President of Meta; and Mustafa Suleyman, CEO of Inflection AI, listen. (AP Photo/Manuel Balce Ceneta) Source: AAP / Manuel Balce Ceneta/AP

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ-আই নিয়ে আজকাল মানুষের মাঝে আগ্রহ ও উৎকণ্ঠা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিরি ও অ্যালেক্সা নিয়ে মানুষের মাঝে মুগ্ধতা থাকলেও চ্যাট-জিপিটি নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা যায়। এ-আই নিয়ে এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন ক্যানবেরার জুলওয়াকার মোহাম্মদ আল-কবীর। অস্ট্রেলিয়া সরকারের সাবেক এই কর্মকর্তা এখন ফেডারাল সরকারের সফটওয়্যার কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন।


জুলওয়াকার মোহাম্মদ আল-কবীরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যানবেরা থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি।

এরপর, প্রায় এক দশক তিনি অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক সার্ভিসে কাজ করেছেন। ফেডারাল সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিতে, বিশেষত, সিকিউরিটি এবং ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া সরকারের যে ডিজিটাল আইডেন্টিটি অ্যান্ড মাই গভ প্রোগ্রাম রয়েছে, সেটির প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্টের অফিসের দায়িত্বও ছিল তার কাঁধে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ-আই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন,

“আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে ভবিষ্যতে, এই মুহূর্তে এটাই চিন্তা করা হচ্ছে।”

তার মতে,

“সামগ্রিকভাবে যদি জিনিসটাকে দেখেন তাহলে এটার হয়তো পজিটিভিটি অনেক বেশি এবং এটার যে নেগেটিভ দিকগুলো রয়েছে সেই নেগেটিভ দিকগুলো মানুষ তুলে আনছেন এ কারণে যাতে এটা থেকে আমরা প্রটেক্টেড থাকি।”

এ-আই এর স্বল্প-মেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে জুল-ওয়াকার বলেন,

“শর্ট টার্মে যেটা হবে, যেমন, এ-আই মানুষের ডিসিশন মেকিং-এ খুব বড় ইনফ্লুয়েন্স নিয়ে আসবে। এটা আপনি অলরেডি দেখেছেন যে, সোশাল মিডিয়া কীভাবে ইউ-এস ইলেকশনে রোল-প্লে করেছিল।”
এ-আই এর নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে তিনি বলেন,

“যে-কোনো দেশেই এ-আই রিলেটেড যে নীতিমালাগুলো রয়েছে সেই নীতিমালাগুলোকে ফোকাস করে কিছু কন্সটিটিউশন বা এগুলোতে কিছু রুলস এবং রেগুলেশন তৈরি করা দরকার এবং সেগুলোর মাধ্যমে আমরা প্রথমত, প্রাথমিকভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।”

জুলওয়াকার মোহাম্মদ আল-কবীরের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।

রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share