২০১৯ সালের শেষের দিকে, নিউ সাউথ ওয়েলসের দক্ষিণাঞ্চলের রোজডেলে, থেকে নিজের বাড়িটি রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছিলেন জ্যাক ইগান।
বাড়িটি বাঁচাতে না পারলেও জ্যাক ও তার পার্টনার বাড়ি থেকে অক্ষত অবস্থায় বের হতে সমর্থ হন।
সেবারের ব্ল্যাক সামার বুশফায়ারে তাদের মতো অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হন। এতে ৩০ জনের মৃত্যু ঘটে।
প্রায় তিন বছর পর, সেই একই স্থানে আবারও তারা বাড়ি পুনর্নির্মাণ করছেন। কিন্তু, বুশফায়ারের ঝুঁকি রয়েই গেছে।
অস্ট্রেলেশিয়ান ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস অথরিটিজ কাউন্সিল এর ড. সায়মন হিমস্ট্রার মতো বিশেষজ্ঞরা বলেন, বর্ষা মৌসুমের সিক্ত আবহাওয়ার কারণে ঘাস বেড়েছে। আর এর প্রভাব পড়বে গ্রীষ্মে।
অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ফায়ার ডেনজার রেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন এনে সঙ্গতিপূর্ণ করা হয় এ বছরের সেপ্টেম্বরে। আর, এটিকে ১০টিরও বেশি ভাষায় প্রকাশ করা হয়।
এখন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে আরও বেশি সুবিধা পাওয়া যায় সে বিষয়ে নজর দিচ্ছে ফায়ার কর্তৃপক্ষগুলো।
ড. হিমস্ট্রা বলেন, অগ্নি নির্বাপণে এটি অনেক সহায়ক হবে।
এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে পানো এ-আই নামের আমেরিকা-ভিত্তিক একটি কোম্পানি। যখনই কোনো অগ্নিকাণ্ড সনাক্ত করা হয়, তখন এই কোম্পানির ইন্টেলিজেন্স সেন্টার সেটি নিশ্চিত করে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই সতর্ক-বার্তা প্রেরণ করে।
কোম্পানিটির মুখপাত্র অরবিন্দ সত্যম বলেন, নানাভাবেই তারা কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে পারেন।
নর্দার্ন কুইন্সল্যান্ড-এর নুসাতে এবং নিউ সাউথ ওয়েলস-এর রিভারিনা রিজিওনে এটি বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে।
নুসার মেয়র ক্লেয়ার স্টুয়ার্ট বলেন, অগ্নি-ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটি আসলেই কাজে আসবে।
আশা করা হচ্ছে, বুশফায়ার প্রতিরোধে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রযুক্তি।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: