১৯৯২ সালে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পল কিটিং ২৬ জানুয়ারী অস্ট্রেলিয়া দিবসকে সরকারী ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে, ২৬ জানুয়ারী ১৭৮৮ সালে প্রথম নৌবহর অবতরণ করে এবং ব্রিটিশরা এদেশে প্রথম উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করে। এসময় ইন্ডিজিনাস এবং টরে' স্ট্রেইট আইল্যান্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উপনিবেশের সূচনা হয়।
যদিও কিছু অস্ট্রেলিয়ান তারিখটিকে উদযাপন করে দেশপ্রেমের গর্ব নিয়ে, আবার অনেকে শোক ও প্রতিবাদ করে।
তারিখ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই এনিয়ে প্রশ্ন জাগে যে ২৬শে জানুয়ারি পালন করার সঠিক উপায় কী?
ম্যাগি ব্লান্ডেন যখন ইয়াং টাসমানিয়ান অফ দ্য ইয়ার-এর জন্য তার মনোনয়নের কথা জানতে পেরেছিলেন তখন তিনি লুট্রুইটা বা টাসমানিয়ায় তার পারিবারিক বাড়িতে ছিলেন।
কিন্তু পালায়া আইনজীবী ম্যাগি তার মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করেন।
আমি এমন একটি দিন দেখতে চাই যেদিন সমস্ত অস্ট্রেলিয়ানরা তাদের (জাতিগত এবং সাংস্কৃতিক) পটভূমি নির্বিশেষে এমন কোন দিবসের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবে এবং আনন্দও অনুভব করবে।
পুরস্কারটি অস্ট্রেলিয়া দিবস উদযাপনের অংশ, কিন্তু দিনটি ম্যাগি এবং তার সম্প্রদায় উদযাপন করে না।
প্রতি ২৬শে জানুয়ারী, ম্যাগি এবং তার পরিবার টাসমানিয়ান আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিপলুনা বা হোবার্টের এলিজাবেথ স্ট্রিটে মার্চ করতে যোগ দেন।
কিন্তু মিছিলটিকে সবসময় অন্যরা স্বাগত জানায় না।
অ্যান্ড্রু গাই অস্ট্রেলিয়া দিবস পছন্দ করতেন। অ্যান্ড্রু ২০০৬ সালে দক্ষিণ সুদান থেকে পালিয়ে শরণার্থী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন।
এখন, অ্যান্ড্রু অস্ট্রেলিয়া দিবস উদযাপন করেন না। তিনি তারিখ পরিবর্তন করতে চান।
অস্ট্রেলিয়া দিবসের বিতর্কের মূল বিষয় হল উপনিবেশের ইতিহাস এবং প্রভাব, এটি অনেক অভিবাসীর কাছেই পরিচিত একটি ইতিহাস।
উপনিবেশ মীনা সিংয়ের পরিবারের উভয় পক্ষকেই প্রভাবিত করেছে।
তার বাবা ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু তাকে ফিজিতে পাঠানো হয়েছিল একজন চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক হিসাবে।
তার মায়ের পরিবার ইয়োর্তা ইয়োর্তা এবং কামরা-জঙ্গা মিশনে থাকতেন।
আদিবাসী শিশু ও যুবকদের জন্য ভিক্টোরিয়ান কমিশনার হিসাবে তিনি প্রতিদিন উপনিবেশের চলমান প্রভাব লক্ষ্য করেন।
তিনি বলেছেন অস্ট্রেলিয়া দিবসের বিতর্ক আদিবাসীদের দৃষ্টিভঙ্গি স্বীকার করে না।
অ্যান্ড্রু এবং ম্যাগির মতে এই সমস্যার সমাধান একসাথে কাজ করার মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে।
এই পডকাস্টে ২৬শে জানুয়ারির পরিপ্রেক্ষিত এবং এ বিষয়ে আদিবাসী এবং অভিবাসীদের বয়ান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে।
এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল।