ইন্ডিজিনাস ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোটের এক বছর পর, আমরা জানতে চেয়েছি যে কীভাবে ভুল এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ভয়েসকে প্রত্যাখ্যান করেছে, জাতিগত বৈষম্য ও অবমাননা বেড়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পরিচয়কে প্রভাবিত করেছে।
১৪ অক্টোবর, ২০২৩-এর সন্ধ্যায়, ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোটে পরাজিত হয়।
ষাট শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান ইন্ডিজিনাস এবং টরে' স্ট্রেট আইল্যান্ডার ভয়েসকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবে না ভোট দিয়েছেন।
এটি ছিল ভয়েস, ট্রিটি, ট্রুথের একটি অংশ - যা উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্ট-এর তিনটি ধাপ।
তাগালাকা এবং গুমাতজি পুরুষ কনর বাউডেনের পরিবার বিবৃতিটির চূড়ান্ত প্রস্তুতির সাথে জড়িত ছিল এবং ভয়েস টু পার্লামেন্টের সমর্থক।
প্রচারণা শুরু হওয়ার সাথে সাথে কনর ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়তে দেখেছেন। তিনি সংসদে ভয়েস ব্যাখ্যা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও তৈরি এবং আপলোড করার সিদ্ধান্ত নেন।
যদিও তিনি কিছু লোকের মন জয় করেছিলেন, কিন্তু এটি তাকে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতি করেছে।
দ্য ভয়েসের অর্থ কী তা নিয়ে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল।
সংসদীয় আইন বিশেষজ্ঞ এবং গণভোট কাউন্সিলের সাংবিধানিক উপদেষ্টা, অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল অ্যাপলবি গণভোট প্রচারের সময় সত্যতা যাচাই করেছেন।
তিনি ও তার দুই সহকর্মী ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য খতিয়ে দেখতে অফিসিয়াল হ্যাঁ এবং না প্রচারপত্রগুলো যাচাই করে দেখেছেন।
তিনি দেখেন যে হ্যা প্যামফ্লেটে থাকা তথ্যগুলো ছিল যথেষ্ট সঠিক এবং ঐতিহাসিক রেকর্ডনির্ভর।
তবে প্রফেসর হতাশার সাথে লক্ষ্য করেন যে না প্যামফ্লেটে থাকা তথ্যগুলো ছিল বিভ্রান্তিকর এবং ঐতিহাসিক রেকর্ডগুলোও বাদ দেয়া হয়েছে।
এদিকে SBS Examines-এর কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে, না প্রচারক এবং ইন্ডিজিনাস ছায়া মন্ত্রী জ্যাসিন্টা নাম্পিজিনপা প্রাইস বলেছেন "আজ পর্যন্ত ভয়েস রেফারেন্ডামের বিষয়ে যে তথ্য-সত্যতা যাচাই করা হয়েছে তার বেশিরভাগই বস্তুনিষ্ঠ নয়"।
তিনি বলেন, "এই প্রচার-প্রচারণা ছিল ইয়েস ক্যাম্পেইনের পক্ষে। সব সময় এমন কিছু লোক থাকবে যারা গণভোটের ফলাফলের বৈধতা নষ্ট করতে চাইবে কারণ এটি তারা যা চেয়েছিল তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়"।
অনুমান করা হয়েছিল যে ভয়েস জয়ী হলে অস্ট্রেলিয়ানদের বর্ণগত ভিত্তিতে বিভক্ত করবে, সেটি ছিল সবচেয়ে সাধারণ ভুল তথ্যের একটি অংশ যা প্রফেসর অ্যাপলবি উল্লেখ করেন।
অন্যান্য ভুল তথ্যের মধ্যে দাবি করা হয়েছে যে ভয়েস ছিল একটি "ট্রোজান হর্স" যা কট্টরপন্থী অধিকার কর্মীদের পার্লামেন্টকে প্রভাবিত করার পথ করে দেবে, এটি ইন্ডিজিনাস এবং টরে' স্ট্রেট আইল্যান্ডারদের কাছে সার্বভৌমত্ব ছেড়ে দেবে, এটি কর বৃদ্ধি করবে এবং এমনকি অ-আদিবাসীদের কাছ থেকে তাদের বাড়িঘর নিয়ে নেবে।
গণভোটের পর, আদিবাসী-নেতৃত্বাধীন সংকটের হটলাইন 13YARN প্রতিদিন প্রায় ১০০টি করে কলে সাড়া দিচ্ছে। নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে, হটলাইনে ২৫ শতাংশ কল ছিল বর্ণবাদ এবং অবমাননা বিষয়ক রিপোর্ট – যা স্বাভাবিক হারের দ্বিগুণ।
ইন্ডিজিনাস এবং টরে' স্ট্রেইট আইল্যান্ডার সোশ্যাল জাস্টিস কমিশনার কেটি কিস মনে করেন গণভোটের ফলাফলের কারণে কেউ কেউ ভাবছে তারা বৈষম্য করার ক্ষমতা পেয়েছে।
কনর বলেন যে তিনি তার ভিডিওগুলির জন্য বর্ণবাদের টার্গেটে মধ্যে পড়েছেন।
ভুল এবং অপতৎপরতা ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোটের ফলাফলে এবং সামাজিক সংহতির দিকে দেশের অগ্রগতির উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
১৪ অক্টোবর গণভোটে পরাজয়ের পর তার ভাষণে, ইন্ডিজিনাস অস্ট্রেলিয়ান এবং উরাডজারি নারী মিনিস্টার লিন্ডা বার্নি ঘোষণা করেছিলেন যে এই ফলাফল সত্ত্বেও পুনর্মিলনের আশা রয়ে গেছে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
পাওয়া যাচ্ছে?
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন
আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় ।