বিশিষ্ট ফার্স্ট নেশনস সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ এবং উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্টের সহ-সভাপতি, অধ্যাপক মেগান ডেভিস, তাদের মধ্যে রয়েছেন - এছাড়া বিশিষ্ট ফার্স্ট নেশনস অ্যাক্টিভিস্ট ইউনুপিংগুকে মরণোত্তর সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।
প্রাক্তন মানবাধিকার কমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস এবং প্রাক্তন হাইকোর্টের বিচারপতি জেমস এডেলম্যানও অস্ট্রেলিয়ার কম্প্যানিয়ন অফ অর্ডারে ভূষিত হয়েছেন।
প্রয়াত ক্যাবিনেট মন্ত্রী কেভিন অ্যান্ড্রুজকে জনজীবনে সেবার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে, সম্মানিত করা হয়েছে প্যারা অ্যাথলিট ম্যাথিউ ফর্মস্টনকেও ।
এই হাই প্রোফাইল পাবলিক ব্যক্তিত্বগণ তাদের সম্প্রদায়ের অবদানের জন্য নীরবে কাজ করে গেলেও এবছর স্বীকৃত হলেন।
অস্ট্রেলিয়ার অর্ডার অফ দ্য মেডেল প্রাপ্ত অনেক সম্প্রদায়ের নায়কদের মধ্যে একজন হলেন আবলা তোহামি কাদৌস।
আবলা বলছেন, "আমি ইসলামিক উইমেনস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পাশাপাশি একজন ইসলামিক স্টাডিজ শিক্ষক এবং কুরআন শিক্ষিকা। আমার আরও একটি ভূমিকা রয়েছে, যা হল অনেক অভাবী নারীর দত্তক মা হওয়া।"
তিনি মুসলিম মহিলাদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রথম কল্যাণ পরিষেবা স্থাপনের জন্য কাজ করেন।
৭০ বছর বয়সী আবলা এখন নারীদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে দারুণ আনন্দ পান।
আরও শুনুন
অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান কামরুল হোসেইন চৌধুরী
SBS Bangla
28/01/201915:45
অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়ার মেডেল পেয়েছেন মালাউই-তে জন্মগ্রহণকারী সেলবা-গন্ডোজা লুকা। তিনি বলেন, স্বীকৃতিটি তার জন্য এক বিরাট বিস্ময়।
সেলবা আফ্রিকান এবং সাংস্কৃতিক ও ভাষাগতভাবে বৈচিত্র্যময় (CALD) অস্ট্রেলিয়ানদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি মেলবোর্ন-ভিত্তিক সম্প্রদায় সংস্থা আফ্রি-অজ কেয়ার (Afri-Aus Care)-এর সিইও।
সেলবা আফ্রি-অজ কেয়ারের সাথে যে কয়টি প্রোগ্রাম চালান তার মধ্যে একটি হল ব্ল্যাক রাইনোস প্রোগ্রাম।
সংগঠনটি খেলাধুলার মাধ্যমে, বিশেষ করে বাস্কেটবল এবং সকার, আফ্রিকান অস্ট্রেলিয়ান তরুণদের যুক্ত রাখেন। এই তরুণরা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় ধরা পড়ার ঝুঁকিতে থাকায় তারা সহায়তা পেয়ে থাকে।
মারিয়েটা মার্টিনোভিক পেয়েছেন মেডেল অফ দ্য অর্ডার।
তিনি ইনসাইড আউট নামে একটি জেল বিনিময় কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। সংগঠনটি কারাবাসের চক্র ভাঙতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রোগ্রামটি আরএমআইটির (RMIT) ছাত্রদের সাথে পুলিশ হেফাজতে থাকা লোকজনের সহকর্মী হিসাবে ক্রিমিনোলজি অধ্যয়ন করে।
বন্দীরা মুক্তির পরেও তারা তাদের উন্নয়নে জড়িত থাকা অব্যাহত রাখে এবং মিজ মার্টিনোভিক বলেন যে তিনি এক্ষেত্রে যথেষ্ট দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব দেখছেন।
বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে যারা অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন
যত দূর জানা যায়, বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের মাঝে সর্বপ্রথম অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন ডারউইনের মোহাম্মদ নুরুল হক। নর্দার্ন টেরিটোরির ইসলামিক সোসাইটিতে অবদান রাখায় ২০০০ সালে তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে, ২০১৯ সালে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ভিক্টোরিয়া স্টেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হোসেইন চৌধুরী।
এছাড়া, মুসলিম কমিউনিটিতে অবদান রাখার জন্য ২০২২ সালে ওএএম (OAM) শ্রেণীতে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মুসলিম সিমিট্রি বোর্ড, সিডনির চেয়ারম্যান কাজী খালেকুজ্জামান আলী।
আরও শুনুন
‘অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ সম্মাননা পেলেন সিডনির ড. সাবরিন ফারুকি
SBS Bangla
25/01/202408:56
এরপর, ২০২৩ সালে, মাল্টি-কালচারাল কমিউনিটিতে অবদান রাখায় ক্যানবেরার মইনুল হক এবং কমিউনিটি হেলথে অবদান রাখায় ডারউইনের আমিনুল ইসলাম একই বছর ওএএম (OAM) শ্রেণীতে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
আর, ২০২৪ সালে, বহুসাংস্কৃতিক অস্ট্রেলিয়ান সমাজে অবদান রাখায় অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া জেনারেল ডিভিশনে মেডাল অব দ্য অর্ডার (OAM) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সিডনির ড. সাবরিন ফারুকি। যত দূর জানা যায়, এক্ষেত্রে তিনিই প্রথম বাংলাদেশী-অস্ট্রেলিয়ান নারী যিনি এই সম্মানের অধিকারী হন।
সব মিলিয়ে এক জন নারীসহ, এ পর্যন্ত মোট ৬ জন বাংলাভাষী এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে।
এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল।