ব্রাজিলের শেফ, ২৭ বছর বয়সী ব্রুনা ব্রিংগোর রেস্টুরেন্টের কাজটি চলে গেছে, সিডনিতে আবারও লকডাউন জারি হওয়ার পর।
করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে ক্লিনার বা পরিচ্ছন্নতা-কর্মী হিসেবে ৬০০ জনের বৈচিত্রপূর্ণ একটি দল কাজ করছে। ব্রুনা এদেরই একজন। এই দলটির বেশিরভাগ কর্মীই ক্যাজুয়াল।
ব্রুনার প্রতিদিনের কাজের মধ্যে রয়েছে সিডনির আইকনিক বন্ডাই বিচের মতো জন-বহুল এলাকাগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
তারা সবাই কাজ করেন বা-দি মহবতের অধীনে। পশ্চিম আফ্রিকার লাইবেরিয়ার এই শরণার্থী বাহাই ধর্মের অনুসারী। অলিঙ্গা নামের এই প্রতিষ্ঠানটি তিনি শুরু করেছেন ছয় বছর আগে। ক্যাজুয়াল লেবার হায়ার বিজনেস বাড়ানোর অংশ হিসেবে তিনি এর মাধ্যমে অভিবাসী ও শরণার্থীদেরকে কাজের সুযোগ দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, অপরিহার্য কর্মীদেরকে দৈনন্দিন যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপদ রাখাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, প্রতিদিনই কোভিড-সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা বাড়ছে।
কিন্তু, অন্যান্য খাত থেকে প্রচুর সংখ্যক কর্মী এ খাতে আসায় ইউনিয়ন বলছে, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন বলছে, নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুল ক্লিনারদের ওপর পরিচালিত সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা যায়, ৬৬ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন যে, তাদেরকে যতোটুকু স্থান পরিষ্কার করতে হয়ে, তার জন্য তারা পর্যাপ্ত সময় পান না।
জরিপে অংশ নেওয়া ৬০ শতাংশ কর্মী বলেন, পর্যাপ্ত পি-পি-ই (ব্যক্তিগত-সুরক্ষা-সরঞ্জাম) ছাড়াই তাদেরকে কাজ করতে হয়।
লিন্ডাল রায়ান বলেন, ক্লিনারদের জন্য সব ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
দোকানপাট ও সুপারমার্কেটগুলোতে কোভিড-সংক্রমণ এলাকা বাড়ছে। তাই, রিটেইল ওয়ার্কারদের প্রতিও মনোযোগ প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান রিটেইলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও পল জাহরা বলেন, রিটেইল ওয়ার্কারদের মাঝেও টিকাদান কর্মসূচিতে গতি বাড়াতে হবে।
নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার বলছে, হেলথকেয়ার কর্মীদের সহায়ক কর্মীদের মতো ক্লিনার এবং চুক্তিবদ্ধ ক্লিনিং স্টাফদেরকে টিকাদান কর্মসূচির গ্রুপ ফেজ-ওয়ান-এ-তে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায়, গত ফেব্রুয়ারি থেকে, কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ডোজ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন লাগানো হয়েছে এবং ১৩.৬ শতাংশ জনগণকে পুরোপুরি টিকাদান করা হয়েছে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা ও-ই-সি-ডি এর ৩৮টি দেশের মাঝে দেখা যায়, টিকাদান কর্মসূচিতে সবচেয়ে ধীর গতির দেশের তালিকায় অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ডের অবস্থান প্রথম।
বা-দি মহবত বলেন, তার প্রতিষ্ঠান ওলিঙ্গাতে কর্মীরা তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন।
এদিকে, ব্রুনা ইতোমধ্যে টিকা গ্রহণ করেছেন। অন্যদের সুরক্ষা দিতে গিয়ে তিনি নিজেকেও সুরক্ষিত মনে করেন।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।