এক বছরের মাঝে তিনবার গর্ভপাতের নিদারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আর্টেমিস ও উইল গ্রিন দম্পতির।
প্রতিবারই তারা তাদের অনাগত সন্তানের জন্মের প্রত্যাশায় আনন্দিত ছিলেন এবং প্রতিবারই গর্ভপাত ঘটার পর তাদের হৃদয় ভেঙে গেছে।
এসব ক্ষেত্রে তারা কখনই পেইড বিরীভমেন্ট লিভ গ্রহণের জন্য উপযুক্ত ছিলেন না।
মিস্টার গ্রিনউড বলেন, তার স্ত্রীকে এজন্য সিক লিভের আবেদন করতে হয়েছে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে সাধারণত বিষয়টি কেউ প্রকাশ করেন না। এর মানে হলো, এ সময়ে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটলে বহু দম্পতি অনেকটা নীরবে-নিভৃতেই তাদের শোক পালন করে থাকেন।
উইল গ্রিনউড বলেন, তাদের সর্বশেষ অনাগত সন্তানকে হারানোর পর, হাসপাতাল থেকে তিনি সোজা কর্মস্থলে চলে গিয়েছিলেন।
তিনি তার ম্যানেজারকে বিশ্বাস করে এ বিষয়টি অবহিত করেন এবং ম্যানেজারও তাকে সহায়তা করেন। নিয়োগদাতারা যেন এসব ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল আচরণ করেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্য এখন ফেডারাল সরকারও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সম্প্রতি ফেডারাল সরকার একটি লেজিশলেশন পেশ করেছে, যেখানে ফেয়ার ওয়ার্ক অ্যাক্ট-এর অধীনে, মিসক্যারিজ বা গর্ভপাতের ঘটনাকে কমপ্যাশনেট অ্যান্ড বিরীভমেন্ট লিভ হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের মধ্যে যাদের গর্ভপাত হবে, সে-সব দম্পতি দু’দিনের জন্য সবেতন ছুটি গ্রহণের উপযুক্ততা লাভ করবেন।
কুইন্সল্যান্ডের লিবারাল এমপি জুলিয়ান সায়মন্ডস এই বিলটির সমর্থন করেন।
এ ধরনের নিদারুণ অভিজ্ঞতার শিকার তিনিও হয়েছেন।
দশ বছর চেষ্টা-প্রচেষ্টার পর, তিনি ও তার স্ত্রী ম্যাডি আই-ভি-এফ এর মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং অবশেষে গর্ভপাত হয়ে যায়।
মিস্টার সায়মন্ডস বলেন, এই লেজিসলেশনটির ফলে গর্ভপাত নিয়ে সমাজে যে অস্বস্তি দেখা যায়, সেটা কিছুটা হলেও দূরীভূত হবে বলে তিনি আশা করেন।
গর্ভধারণের প্রথম ২০ সপ্তাহে প্রতি চার জন নারীর মাঝে এক জনের গর্ভপাত ঘটে।
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পিঙ্ক এলিফ্যান্ট-েএর স্যাম পেইন গত তিন বছর ধরে এক্ষেত্রে আইনী পরিবর্তন আনার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তার তিনবার গর্ভপাত হয়েছে। এই তিনটি অনাগত সন্তানের উত্তরাধিকার হিসেবে তিনি এই বিলটিকে দেখছেন।
আগস্ট মাসে আবারও সংসদ অধীবেশন বসলে এই বিলটি নিয়ে ভোটাভুটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।