মেলবোর্নের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সাদ্দাম হোসাইন ফ্রন্টলাইনে থেকে কাজ করছেন। নেপাল থেকে আসা এই শিক্ষার্থী একাউন্টিং পড়ছেন, এবং একটি স্কুলে পার্ট টাইম কাজ করছেন।
কিন্তু তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্লাসরুম থেকে ঘরে চলে গেছে, তাদের কাজের শিফট কমিয়ে দেয়া হয়েছে, এবং সরকারের কোন সহায়তাও তারা পাচ্ছেন না, জীবন তাই হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
যারা কাজে নিয়োজিত আছেন, তাদের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটছে, অভিবাসী কমিউনিটির ওপর তারা প্রবলভাবে নির্ভরশীল।
ইউনিভার্সিটি এবং সিবিডি'র অফিসগুলো একদম খালি পরে আছে, সেখান থেকে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন।
মাইগ্র্যান্ট কাউন্সিল অফ অস্ট্রেলিয়ার কার্লা উইলশায়ার বলেন, ওরা কমুনিটির ক্ষতিগ্রস্ত একটি অংশ।
কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রির ওপর প্রভাব পড়েছে নানা ভাবে।
COVID 19-এর কারণে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র এবং পাবলিক প্লেসগুলোতে অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতার কাজের জন্য অনেক কর্মীই আগের চেয়ে ব্যস্ত।
যারা এখনো চাকরিতে আছেন, তাদের কাজ উঁচুমানের নয় বলে উদ্বেগ আছে, এমনটাই বলেন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের জর্জিয়া পটার বাটলার।
তিনি বলেন, এর কারণ পরিচ্ছন্নতার কাজটিতে তাদের বিনিয়োগে মনোযোগ কম অথচ একে বরং অতি প্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে দেখানো হয়।
ইউনিয়ন পাঁচশতেরও বেশি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ওপর জরিপ করেছে এই প্রাদুর্ভাবের সময়, সেখানে দেখা গেছে তাদের ৯১% কাজের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করেছে, কারণ তাদেরকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়নি, অন্যদিকে দশজনের আটজনই বলেছে তাদের যথেষ্ট যন্ত্রপাতি নেই।
উত্তরদাতাদের তিন চতুর্থাংশ বলেছে তাদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট নেই কাজ করার জন্য, এছাড়া ৭০% বলেছে তাদের কোন মুখোমুখি প্রশিক্ষণ নেই।
৭৭% উত্তরদাতা বলেছে তারা সবসময়েই কাজ হারানোর ভয়ে থাকে, ৮৬% বলেছে তাদের যা বেতন দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয়।
এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে ইউনিয়ন মনে করে।
তবে এই সেক্টরে একটি ইতিবাচক খবর আছে, ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড ধারণা করছে পরিচ্ছন্নতা খাতে কর্মসংস্থান হবে আগামী বছরে তিনগুন হবে। যতদিন না বিশ্বে কোবিদ ১৯-এর কোন ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে এর সংকট রয়েই যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে হালনাগাদ তথ্যের জন্য আপনার ভাষায় ভিজিট করুন sbs.com.au/coronavirus
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন
আরো পড়ুন: