মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশে।
গত ২২ আগস্ট বুধবার ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় দেশটির বিভিন্ন স্থানে। এরপর, পশু কুরবানি করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ।
বুধবার ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ এহসানুল হক। নামাজ শেষে গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন তিনি।বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বুধবার সকালে বঙ্গভবনে ঈদ উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘কোরবানি আত্মত্যাগের পাশাপাশি মানুষকে ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদ-উল-আজহা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
Eid al-Adha is the holiest of the two Muslims holidays celebrated each year, it marks the yearly Muslim pilgrimage to visit Mecca, the holiest place in Islam. Source: EPA
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে বুধবার পবিত্র ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
বাংলদেশের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১৯১তম পবিত্র ঈদ-উল-আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত দেশের বৃহত্তম এই জামাতে ইমামতি করেন শহরের মারকাস মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছিল চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশি করে ঈদগাহে ঢুকতে দেয়া হয়।
জামাত শেষে মোনাজাতে ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।