আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আগ্রহী করতে কাজ করছে সেই রাজ্যের ম্যাকগোয়ান সরকার। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন বিদেশী শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে সেজন্য এই উদ্যোগ।
বিদেশী শিক্ষার্থীরা এলে অর্থনীতি চাঙা হয় এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ানদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিং মিনিস্টার সু এলারি বলেন,
“পড়াশোনা ও কাজের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় আসতে উৎসাহিত করা হলে আমাদের অর্থনীতি গতিশীল হবে এবং কাজের সুযোগ তৈরি হবে।”
অতিরিক্ত একটি গ্রাজুয়েট স্কিলস মাইগ্রেশন লিস্ট তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষিত, মেধাবী এবং দক্ষ ব্যক্তিদেরকে আকৃষ্ট করা হবে।
সেজন্য পিএইচডি, মাস্টারস, অনার্স এবং অন্যান্য উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য স্কিলড মাইগ্রেশনের রাস্তা খুলে দিচ্ছে ম্যাকগোয়ান সরকার।
এই পরিবর্তনের ফলে উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা-সম্পন্ন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা দলে দলে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় ধাবিত হবে বলে ভাবা হচ্ছে।
‘‘আমরা বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দিতে চাই, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীগণ, তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধব-কে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতম। পড়াশোনা, কাজ ও বসবাসের জন্য পার্থ একটি আকর্ষণীয় এলাকা।”
এটি অবশ্য রাজ্য সরকারের বিদ্যমান স্কিলড মাইগ্রেশন লিস্ট-কে প্রভাবিত করবে না। বিদ্যমান পেশা-তালিকা যে-সব পেশা রয়েছে, যেমন, ব্রিকলেয়ার্স, ইলেক্ট্রিশিয়ানস, মেকানিকস ইত্যাদি অপরিবর্তনীয় থাকবে।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যে-সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী খুব ভাল রেজাল্ট করবে, তাদেরকে স্টেট নমিনেটেড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের জন্য বিবেচনা করা হবে।
ইন্টারনেশনাল এডুকেশন স্ট্রাটেজি নির্ধারণের জন্য এ বছরের শেষ নাগাদ ম্যাকগোয়ান সরকার দুই মিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা পেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।