ভয়েস গণভোটে হেরে গেলে লেবার সরকারের ভাগ্যে কী আছে?

ANTHONY ALBANESE  LAKEMBA MOSQUE SPEECH

Australian Prime Minister Anthony Albanese (centre) addresses the congregation during a visit to the Lakemba Mosque in Sydney, Friday, October 6, 2023. Source: AAP / BIANCA DE MARCHI/AAPIMAGE

সাম্প্রতিক জরীপগুলো থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে ইন্ডিজিনাস ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোট ব্যর্থ হতে পারে। যদি তা ঘটে, তাহলে লেবার সরকারের আগামী নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা কী হুমকির মুখে পড়বে?


গত মার্চে যখন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজি ইন্ডিজিনাস ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোটের ঘোষণা দেন তখন এটি নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা তৈরী হয়েছিলো, কারণ সিনেটে এই প্রস্তাবটি ৫২-১৯ ভোটে পাশ হয়েছিলো।

সংবিধান পরিবর্তন করতে ১৯৭৭ সালের পর এটিই প্রথম গণভোট।

কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ভয়েস নিয়ে নানা তথ্য এবং জরীপগুলো বলছে ভোটের পাল্লা ভারী হচ্ছে 'না' ভোটের দিকে।

সর্বশেষ গার্ডিয়ান এসেনশিয়াল পোল থেকে দেখা যায়, ৪৩% অস্ট্রেলিয়ান এখন "হ্যাঁ" ভোট দিতে চান, অন্যদিকে ৪৯% "না" ভোট দিতে চান।

প্রশ্ন হচ্ছে জরীপ অনুযায়ী 'না' ভোট জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজের রাজনৈতিক অবস্থান কী গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে? এতে কী বিরোধী দলীয় নেতা পিটার ডাটন ক্ষমতা পেতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবেন?

আলবানিজির ২০২২ সালের নির্বাচনে জয়ের রাতে বক্তৃতার প্রথম কথাটি ছিল উলুরু স্টেটমেন্ট অফ দ্য হার্টের "সম্পূর্ণ" বাস্তবায়ন।

কিন্তু ১৪ অক্টোবর গণভোটে হেরে গেলে ভয়েস নিয়ে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাটি প্রথম বাধার মুখে পড়েবে।

অস্ট্রেলিয়ান ল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের সাবেক সদস্য এবং ল গ্রাজুয়েট অর্ণব ঘোষ রয় বলেন, 'নো' ভোট জয়ী হলে এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।

বিরোধী ইন্ডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানদের মুখপাত্র এবং বিশিষ্ট নো অ্যাডভোকেট জ্যাসিন্টা নাম্পিজিনপা প্রাইস গত মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করে বলেছেন যে ভোটের পরে আলবানিজির নেতৃত্বই প্রথম হুমকির মুখে পড়বে।

কিন্তু গণভোটে হেরে গেলে এমন সম্ভাবনা আছে কিনা এ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইতিহাসবিদ ফ্রাঙ্ক বোঙ্গিওর্নো বলেছেন যে বিষয়টি অবশ্যই তা নয়।

"একটি গণভোটে পরাজয়ের ফলে কোন সরকারের স্থায়ী ক্ষতি হয় না, অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগও করতে হবে না," তিনি বলেছেন।

"গণভোটে পরাজয়ের কারণে (পূর্বের) সরকারগুলির মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ইতিহাস নেই।"

ফেডারেশন গঠিত হওয়ার ১২২ বছরে, অস্ট্রেলিয়ানরা সংবিধানে ৪৪টি প্রস্তাবিত পরিবর্তনের মধ্যে ৩৬টিই প্রত্যাখ্যান করেছে।

১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রজাতন্ত্র হওয়ার প্রশ্নে যে গণভোট হয়েছিল তাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড গণভোট ডাকলেও এর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালান। হাওয়ার্ডের পক্ষ বিজয়ী হয়েছিল, গণভোট ব্যর্থ হয়েছিল এবং তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন।

অর্ণব ঘোষ রয় বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা পরিবর্তন খুব বেশি পছন্দ করেন না, তবে এতে কোন দোষ নেই।

ইতিহাস বলে গণভোট বা ফেডারেল নির্বাচন যাই হোক, অস্ট্রেলিয়ান ভোটাররা পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক।

১৪ অক্টোবর ভয়েস ব্যর্থ হলে, তারা সংবিধানে ৩৭টি প্রস্তাবিত পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান করবে এবং মাত্র আটটি অনুমোদন করবে।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ ম্যাট কিউভরট্রুপ, যিনি বিশ্বজুড়ে শত শত গণভোটের ফলাফল অধ্যয়ন করেছেন, তিনি বলেন ভোটাররা সরকারকে সবসময় সতর্ক রাখবে, বা কোন বার্তা পাঠাবে।

তবে ভোটারদের কোন গণভোটে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করার সুযোগ থাকলেও, সরকার পরিবর্তন একটি ভিন্ন বিষয়।

যদিও অ্যান্থোনি আলবানিজি ইতিহাস থেকে আশ্বস্ত হতে পারেন, তবে না ভোটের রাজনৈতিক প্রভাব পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।

বোঙ্গিয়োর্নো বলেন, "আমি মনে করি না যে রাজনৈতিক পতনের পূর্বাভাস দেওয়া সহজ।"

তাই এটি ঠিক যে, ঘটনা একের পর আসছে, এবং অস্ট্রেলিয়ানরা ২০২৫ সালের পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দেয়ার আগেই ভয়েসের ফলাফল বেশিরভাগ ভোটারদের জন্য একটি দূরবর্তী স্মৃতি হয়ে যেতে পারে।

এবং বঙ্গিওর্নো বলেন এটাও হতে পারে যে একটি ভয়ঙ্কর, কুৎসিত প্রচারাভিযান আবার বিরোধীদলগুলোকে ম্লান করে দিতে পারে।

তাই "গণভোটের ফলাফল হ্যাঁ বা না যাই হোক না কেন - তাতে অবশ্যই বিরোধীদেরও উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সুযোগ রয়েছে," তিনি বলেন।

২০২৩ সালের ইন্ডিজিনাস ভয়েস টু পার্লামেন্ট গণভোট সম্পর্কে আরো জানুন এসবিএস নেটওয়ার্ক থেকে, সেইসাথে এনআইটিভির মাধ্যমে ফার্স্ট নেশন্স পরিপ্রেক্ষিত থেকেও জানতে পারেন।

থেকে আর্টিক্যাল, ভিডিও এবং পডকাস্ট শুনুন ৬০টিরও বেশি ভাষায়, অথবা থেকে দেখুন সর্বশেষ খবর এবং বিশ্লেষণ, ডকুমেন্টারি এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।

পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।

এসবিএস রেডিও-র সম্প্রচার-সূচি হালনাগাদ করা হচ্ছে। ৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে, পরিবর্তিত সময়ে শোনা যাবে সরাসরি সম্প্রচার।

প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।

কিংবা, বিদ্যমান সময়সূচিতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারবেন, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ তে।
Bangla_New time_screenshot.png
৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে ও নতুন সময়ে যাচ্ছে SBS Bangla Credit: SBS
আমাদেরকে অনুসরণ করুন 


Share