গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- ইন্ডিজিনাস কমিউনিটি এবং বিশেষ করে যারা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় রয়েছেন তাদের ফ্লু ঝুঁকি রয়েছে।
- ২০১৯ সালের ফ্লু মৌসুমে তিন লক্ষ মানুষ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৮০০ মানুষ মারা গেছে যা একটি রেকর্ড।
- স্বাস্থ্য অধিকার কর্মীরা সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যাতে অভিবাসী এবং ইন্ডিজিনাস কমিউনিটির মধ্যে ফ্লুয়ের টিকা নেয়ার বার্তা দেয়া হয়, তাদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেয়ার হার খুবই কম।
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী সকলকে ফ্লুয়ের টিকা নিতে আবার নতুন করে বলা হয়েছে, জন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন টিকা না নেয়ার কারণে অনেকেই এ বছর অরক্ষিত থাকবেন।
গত বছর পুরো জনসংখ্যার ৭০ ভাগই ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়েছিল, অথচ এ বছর ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন বয়স্ক অস্ট্রেলিয়ান, ইন্ডিজিনাস কমিউনিটি এবং বিশেষ করে যারা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় রয়েছেন তাদের ফ্লু ঝুঁকি রয়েছে।
যদিও পুরো জাতির মূল চিন্তা কিভাবে করোনাভাইরাস নির্মূল করা যাবে, কিন্তু স্থানীয় জেনারেল প্র্যাক্টিশনার লরেন বেকার উদ্বিগ্ন যে আমরা হয়তো ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে নিজেদের রক্ষার বিষয়ে উদাসীন হয়ে পড়ছি।
২০১৯ সালের ফ্লু মৌসুমে তিন লক্ষ মানুষ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৮০০ মানুষ মারা গেছে যা একটি রেকর্ড।
ডঃ জোনাথন অ্যান্ডার্সন বলেন যদিও বেশিরভাগ মানুষই এক সপ্তাহের মধ্যেই ফ্লু হলে আরোগ্য লাভ করে, তবে সবাই সমানভাবে ভাগ্যবান নয়।
তবে ২০২০ সালে এসে ফ্লু সংক্রমণ অনেকটাই কমে গিয়েছিলো, এর কারণ করোনাভাইরাসের বিধি এবং লকডাউন ব্যবস্থা।
কিন্তু একই সাথে এটা কমে গেলেও ডঃ অ্যান্ডার্সনের উদ্বেগ হচ্ছে ফ্লু জুলাই থেকে বেড়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, "আমার জানি মানুষজন বাইরে বের হচ্ছে, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে যাচ্ছে, স্পোর্টস ইভেন্টগুলোতে জড়ো হচ্ছে, তাই যদি ইনফ্লুয়েঞ্জা একবারে শুরু হয়ে গেলে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে কোন সন্দেহ নেই।"
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট প্রস্তুত নই, আমাদের ৬৫ উর্দ্ধ প্রবীণদের ৬৬ ভাগ ফ্লুয়ের টিকা নিয়েছে, অথচ গত বছর এই হার ছিল ৯০ শতাংশ। এই ২৪ ভাগ কমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে প্রবীণদের একটি অংশ বড় ধরণের ঝুঁকিতে আছে।
এদিকে ১৮ থেকে ৬৫ বয়সের জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাত্র ৪৫ শতাংশ টিকা নিয়েছে যা গত বছর ছিল ৭০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিকার কর্মীরা সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যাতে অভিবাসী এবং ইন্ডিজিনাস কমিউনিটির মধ্যে ফ্লুয়ের টিকা নেয়ার বার্তা দেয়া হয়, তাদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেয়ার হার খুবই কম।
এদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা ২০১৫ সালের সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রভাব এখনও মনে রেখেছেন।
তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ইন্ডিজিনাস ডক্টরস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডঃ তানিয়া শ্রেম বলেন, "আমরা জানি এবরোজিনাল কমুউনিটির মধ্যে ফ্লুতে মৃত্যুর হার ৫.৮ গুন বেশি, তাই আমাদের কমিউনিটির জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানীরা এই সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছেন তারা একটি ইউনিভার্সাল ফ্লু ভ্যাকসিন উৎপাদনের দ্বারপ্রান্তে, এটি ইন্ডিজিনাস লোকজনকেও সুরক্ষা দেবে।
তারা বিশেষ ইনফ্লুয়েঞ্জা টার্গেট চিহ্নিত করেছেন যা ইন্ডিজিনাস লোকজনকে ইউনিভার্সাল টি সেল-বেসড ভ্যাকসিনের মাধ্যমে রক্ষা করবে।
প্রফেসর ক্যাথেরিন কেডিজিএরস্কা যিনি ডোহার্টি ইনস্টিটিউটে কর্মরত, তিনি বলেন ইন্ডিজিনাস কমিউনিটির স্পেসিফিক প্রোটিনটি প্রযুক্তির মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়, যা রোগ থেকে রক্ষার ইমিউন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে, এবং এর ফলে গুরুতর ইনফ্লুয়েঞ্জাজনিত রোগ থেকে সুরক্ষার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই ভ্যাকসিন আগামী দুই বছরের আগে পাওয়া যাবে না, তবে এ ব্যাপারে ডঃ শ্রেমের মত স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশ উচ্ছসিত।
তবে তিনি বলেন, তার ধ্যান-জ্ঞান এখন আসন্ন ফ্লু-মৌসুমের বিপদ নিয়ে।
পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার রেডিও অনুষ্ঠান শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করুন।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.
আরো দেখুন: