ড: শামারুহ মির্জা গত ১১ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় মেডিক্যাল সায়েন্টিস্ট হিসাবে কাজ করছেন। তিনি এসবিএস বাংলার সাথে কথা বলেছেন কিভাবে তাঁর সংগঠন 'সিতারা'স স্টোরি' বহুভাষী সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে।
গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে 'সিতারা'স স্টোরি', কর্মসূচিতে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অভিবাসীরা নারীরা বিশেষ করে যারা নতুন এসেছে তারা ভাষা ও সংস্কৃতিগত বাধার কারণে মানসিক চাপে ভোগে এবং কোন সহায়তা নিতে ব্যর্থ হয়।
অভিবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেসব সুবিধাগুলো আছে সেই তথ্য পৌঁছে দিতে কাজ করছে সংগঠনটি।
ডঃ শামারুহ মির্জা বলেন, 'সিতারা'স স্টোরি' অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বিভিন্ন সংগঠনের সহায়তায় কাজ করে থাকে যার মধ্যে আছে নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন মানসিক স্বাস্থ্য।তিনি বলেন, ভাষাগত সমস্যার কারণে অভিবাসী নারীরা একাকিত্ব বোধ করে, কারো সাথে মেলামেশা করতে পারে না এবং পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। এছাড়া সাংস্কৃতিক কারণে তাদের মানসিক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে লজ্জাবোধ করে।
Organisers and volunteers of Sitara's Story Source: Dr Shamaruh Mirza
"কালচারাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে তারা অনেক সময় স্টিগমায় ভোগে এবং কোন সরকারি সহায়তা তারা নেয় না। তাছাড়া তারা যে আইনি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য সেই তথ্যগুলোই তাদের কাছে নেই।"
ডঃ মির্জা বলেন, নারী-পুরুষ উভয় অভিবাসীদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় ক্যানবেরায় পারিবারিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের তারা আর্থিক সাহায্য দিতে চেষ্টা করেছেন বলে জানান তিনি।
'সিতারা'স স্টোরি'র শুরুটা হয়েছিলো বাংলাদেশে কিশোরীদের সাহায্য করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে। এ প্রসঙ্গে ডঃ শামারুহ মির্জা বলেন তারা বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত এবং কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন মানসিক সমস্যা দূর করার লক্ষে ইনোভেটিভ অয়েল বিয়িং ফাউন্ডেশনের মুনিরা রহমানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।"গত দু'বছরে আমরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতার কাজটি করেছি, যার মাধ্যমে দু'হাজারের মত শিক্ষার্থী, এক হাজারের মত শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি।"
Organisers and volunteers of Sitara's Story Source: Dr Shamaruh Mirza
তিনি বলেন, আমরা তাদের সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে 'মেন্টাল হেলথ ইজ আ সিরিয়াস ইস্যু', শারীরিক স্বাস্থ্যের মত মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও আপনাকে যত্নবান হতে হবে।
ডঃ মির্জা জানান তারা গত ফেব্রুয়ারী থেকে তারা একটি কর্মসূচি শুরু করেছেন যার মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষা ও সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবীদের 'মেন্টাল হেলথ এডুকেটর ভলান্টিয়ার ট্রেনিং' দিচ্ছেন যাতে তাদের কার্যক্রমে নিজ কমুনিটির স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়।
ডঃ শামারুহ মির্জার পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আরো দেখুনঃ