ডঃ বীণা ডি'কস্টা অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোরাল বেল স্কুল অফ এশিয়া-প্যাসিফিক এফেয়ারসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন প্রফেসর; তার গবেষণার মধ্যে আছে অভিবাসন এবং বাস্তুচ্যুতি; শিশু এবং বিশ্ব সুরক্ষা ব্যবস্থা; যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা; মানবাধিকার এবং দায়মুক্তি। ডঃ বীণা ডি'কস্টা এসবিএস বাংলার সাথে কথা বলেছেন বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে লিঙ্গ সমতা, নারী অধিকার ও স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে এমন সামাজিক প্রত্যাশাসহ আরও কিছু বিষয়ে।
আরও দেখুনঃ
গুরুত্বপূর্ণ দিক
- নারী-পুরুষের সমানাধিকার প্রশ্নে অনেকে ক্ষেত্রেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তবে বেতন বৈষম্যসহ আরো কিছু বিষয়ে অসঙ্গতি রয়ে গেছে।
- নারীর প্রতি সহিংসতার বিস্তার, বিশেষ করে অভিবাসী কমিউনিটিতে, 'শ্যাডো প্যান্ডেমিক' বা ছায়া প্রাদুর্ভাব হিসেবে দেখা দিয়েছে যা অকল্পনীয়।
- 'সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে, এই ভয়ে অনেকে পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ে মুখ খুলতে চান না'-এমন মানসিক অবস্থার পরিবর্তন জরুরী।
ডঃ বীনা ডি'কস্টার গবেষণার আরেকটি বিস্তৃত বিষয় হচ্ছে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলো থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে মানুষের শরণার্থী জীবন যাপন, তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রেক্ষিত থেকে বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা আছে তা ঠিক নয়, তাদের মধ্যেও অনেকে প্রচন্ড কষ্ট করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন।
আরও দেখুনঃ
"তবে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে নারী ও শিশুদের দুর্দশা লাঘবে অনেক কিছু করতে হবে, বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।"
তিনি আন্তর্জাতিক নারী দিবসের গুরুত্ব প্রসঙ্গে বলেন, নারীদের শ্রমের মর্যাদা এবং অধিকারের প্রশ্নে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার ধারাবাহিকতায় আজ এই দিবসটি পালন করা হয়।
"ভুলে গেলে চলবে না, এই দিবসটি অনেক কষ্ট করে, মূল্য দিয়ে কেনা একটা দিন।"
ডঃ বীনা ডি'কস্টার পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে ওপরের ছবিতে ক্লিক করুন
আরও দেখুনঃ