তাহাবুব আলমের মতে বাংলাদেশে একখণ্ড জমি কিনতে হলে যে সমস্ত বিষয় যাচাই করা প্রয়োজন
- বিক্রেতার শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল।
- সিএস রেকর্ড হতে সর্বশেষ রেকর্ড পর্যন্ত মালিকানার ধারাবাহিকতার সঠিকতা।
- প্রস্তাবিত অংশটুকু সকল প্রকার সরকারী স্বার্থমুক্ত কিনা।
- বিক্রেতা প্রস্তাবিত পরিমাণের বৈধ মালিক কিনা।
তাহাবুব আলম বলেন, প্রস্তাবিত অংশটুকু সম্পূর্ণ সরকারী স্বার্থমুক্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি দপ্তর/ উপজেলা ভূমি দপ্তর / জেলা প্রশাসকের দপ্তর/ পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ড/বা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে যোগাযোগ করতে হবে।
এরপর, ক্রেতা ও বিক্রেতার উভয়ের সম্মতিতে দলিল লেখকদের সহযোগিতায় জমির বর্তমান বাজার মূল্যের বিপরীতে প্রয়োজনীয় ফি জমাদান সাপেক্ষে দলিল নিবন্ধন করবেন উপ-নিবন্ধক।
তাহাবুব আলম বলেন, এসব কাজের সঙ্গে দলিল লেখক, উকিল, ও অভিজ্ঞ কিছু দালাল জড়িত। কিন্তু, এই দালালদের বর্তমানে আইনানুগ কোন স্বীকৃতি নেই । দলিল সম্পাদনের জন্য দলিল লেখকদের কাছে অবশ্যই যেতে হবে। শুধুমাত্র প্রয়োজন হলে, উকিল বা দালালদের কাছে যাওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশের ভূমি-ব্যবস্থার সঙ্গে ভিক্টোরিয়ার ভূমি ব্যবস্থার মিল-অমিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তাহাবুব আলম বলেন,
“অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ সিস্টেম্যাটিক। ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণকারী .”
“শুধুমাত্র কনভেয়েন্সার (দলিল-লেখক সমতুল্য)-এর সাথে যোগাযোগ করেই ভিক্টোরিয়ায় একটি নিষ্কণ্টক জমি কেনা সম্ভব। তবে, বিশেষ প্রয়োজনে, সার্ভেয়ার বা আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন,
“একখণ্ড জমি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ভিক্টোরিয়ায় বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ করার কোন প্রয়োজন নেই।”
তাহাবুব আলমের সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা