“আর নিজের বেডরুম থেকে প্লিজ কখনও অফিসের কাজ করবেন না”

A supplied image shows assistant supervisor Eloa Marins working from home during lockdown in Brookvale, NSW, Tuesday, August 10, 2021. (AAP Image/Supplied by In the Media PR) NO ARCHIVING, EDITORIAL USE ONLY

A supplied image shows assistant supervisor Eloa Marins working from home during lockdown in Brookvale, NSW, Tuesday, August 10, 2021. Source: AAP Image/Supplied by In the Media PR

বলা হয়ে থাকে যে, প্রতি পাঁচ জনে এক জন অস্ট্রেলিয়ান মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন। আর শতকরা ৪৫ ভাগ অস্ট্রেলিয়ান তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন। করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কী রকম প্রভাব পড়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর? এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন সাইকোলজিস্ট জন মার্টিন।


মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সাইকোলজিস্ট জন মার্টিন বলেন,

“ছোটবেলা থেকে আমরা শিখে আসছি যে, দাঁতের যত্ন নিতে হবে, চুলের যত্ন নিতে হবে, চোখের যত্ন নিতে হবে এবং হাত-পা ধুতে হবে। কিন্তু, আমাদের ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় নি যে, মনেরও যত্ন নিতে হবে। মনটা যে আমাদের অংশ, মনটাও যে আমাদের সবচেয়ে ইমপরট্যান্ট অংশ বেঁচে থাকার জন্য (সেটা শেখানো হয় নি)। কারণ, সুখী হওয়া এবং ভাল থাকা হচ্ছে আপনাদের মৌলিক অধিকার।”
তিনি আরও বলেন,

“কীভাবে সুখী হওয়া যায়, কীভাবে খুশি হওয়া যায়, কীভাবে ভাল থাকা যায়, এটার জন্য আমাদের মনের পরিচর্যা যে কত বেশি দরকার, এটা আমরা খুব একটা খেয়াল করি না।”

মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, নিজের পরিচর্যা আগে করতে হবে।

করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা করার নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।

“আপনি বাসা থেকে কাজ করেন বলে ঘরে রাতে ঘুমানোর কাপড় পরে আপনি অফিস করবেন, এটা কিন্তু ঠিক না।”

“আমি বলবো, সকালে উঠে গোসল করবেন, শেভ করবেন বা সাজবেন, নিজেকে প্রস্তুত করবেন, নিজেকে প্রস্তুত করবেন, নিজের কাপড় পরবেন, অফিসে যাওয়ার কাপড় পরবেন এবং তারপরে আপনি অফিসের কাজ শুরু করবেন। এতে কিন্তু আপনি মানসিকভাবে খুব চাঙ্গা থাকবেন।”
কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষের কাজের ক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেকেই এখন ঘরে থেকে কাজ করে থাকেন। ঘরে থেকে কাজের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যার জন্য জন মার্টিন বলেন,

“এবং চেষ্টা করুন যেখানে যেখানে সম্ভব সেখানে সেখানে আপনার ভিডিও ক্যামেরাটি অন করতে। আপনার কলিগদের সাথে চেহারা দেখে কথা বলবেন। কেন? কারণ, আপনার ক্যামেরাটা অন করতে হলে আপনি জানেন নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এটা খুব দরকার।”

“আর নিজের বেডরুম থেকে প্লিজ কখনও অফিসের কাজ করবেন না।”

পরিশেষে তিনি বলেন, অপরের সেবা করার আগে প্রথমে নিজের সুস্থতা বজায় রাখতে হবে।

“অন্যকে খুশি করার আগে, অন্যকে সুখ দেওয়ার আগে আপনার নিজেকে খুশি হতে হবে, নিজেকে ভাল থাকতে হবে।”

মানসিক স্বাস্থ্য-সহায়তা পেতে ফোন করুন লাইফলাইন-এ 13 11 14 নম্বরে; কিংবা বিয়ন্ড ব্লুতে, 1300 22 4636 নম্বরে।

সাইকোলজিস্ট জন মার্টিনের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .


এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share