মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরে করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব সম্পর্কে সাইকোলজিস্ট জন মার্টিন বলেন,
“এই ভাইরাসটা আমাদের মানবিক যে মূল্যবোধ, মানবিক গুণাগুণ যেগুলো রয়েছে, সেখানে ব্যাপকভাবে, আমি বলবো, আঘাত হেনেছে।”
“সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে, আমার কাছে মনে হয়, শিশুদের উপরে। আমরা জানি যে, শিশুরা খেলতে ভালবাসে, শিশুরা ছোটাছুটি করে।”
কিন্তু, তারা এখন এসব সুযোগ একেবারেই পাচ্ছে না, বলেন তিনি।
“তাদের ওপরে যে মানসিক চাপটা পড়েছে, এই চাপের প্রভাবটা কিন্তু পড়েছে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পিতা-মাতার ওপরে।”
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের তুলনা করে তিনি বলেন,
“করোনা-পূর্ববর্তী জীবনটিকে আমরা বস্তা-বন্দী করে ঘরে রেখে দিয়েছি।”
“আমরা এমন একটা পর্যায়ে চলে এসেছি, যেখানে সেই উন্মুক্ত অপশন, সেই ফ্রিডমটা আমাদের নষ্ট হয়ে গেছে।”
“আমাদের আগের সেই ফ্রিডমটা নেই। এটা শুধু চলাফেরার ক্ষেত্রে নয়, আমাদের পারস্পরিক মানবিক যে সম্পর্কগুলো আছে, সেখানে আমাদের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। যেমন, আপনি আপনার প্রিয়জনদেরকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে পারছেন না।”
করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে ঘরে থেকে কাজ করার নানা অসুবিধা সম্পর্কেও বলেন জন মার্টিন।
“আর, এই লকডাউনের কারণে এখন আমাদের অবস্থা কী হয়েছে? আমরা অনেকেই ঘুম থেকে উঠে কোনোভাবে মুখে একটু পানি দিয়ে কাজে বসে যাই। এবং অনেক সময় ক্যামেরাটা বন্ধ রাখি, যেন অন্যজন আমাদেরকে না দেখে। আমি এমনও জানি, অনেকে বিছানায় শুয়ে শুয়ে অফিস করেন। এতে সুবিধার চেয়ে, আমি মনে করি, মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও অনেক বেশি। এবং এই কাজটি যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে, তাহলে লকডাউনের একটা বিশাল নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট আমরা সবার জীবনে দেখবো।”সাইকোলজিস্ট জন মার্টিনের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
সাইকোলজিস্ট জন মার্টিন বলেন, অনেকে বিছানায় শুয়ে শুয়ে অফিস করেন। এতে সুবিধার চেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও অনেক বেশি। Source: John Martin
আরও দেখুন:
মনঃচিকিৎসক তানভীর আহমেদের সাক্ষাৎকার