যুক্তরাজ্যে সাইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করেন শাহ আলম।
সেখানকার বাংলাদেশী কমিউনিটিতে লকডাউনের কী রকম প্রভাব পড়েছে, গতবছর তা খতিয়ে দেখেছেন তিনি।
তিনি ইস্ট লন্ডনে বসবাস করেন। যুক্তরাজ্যে ৫ লাখ বাংলাদেশী বাস করেন। এই কমিউনিটির কেন্দ্রস্থল বলা যায় ইস্ট লন্ডনকে।
সেখানে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। মেয়েরা মাথায় ওড়না জড়িয়ে জিলাপি ও সমুচার জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন, আর পুরুষেরা বাজারে রং-বেরংয়ের কাপড় বিক্রি করছেন।
তবে, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর অপ্রকাশ্য ধাক্কা লেগেছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের শুরুতে ইমরান খানের বাবা মারা গেছেন।
ইউকে হাউজহোল্ড লংজিটিউডিনাল স্টাডি-এর তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, বাংলাদেশী ও পাকিস্তানী পটভূমির পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরে করোনাভাইরাস সঙ্কটের সবচেয়ে কঠোর আঘাত লেগেছে।
এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানার আগে। অন্যান্য কমিউনিটিতে যেখানে মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছিল, তখনও বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীতে উচ্চ মৃত্যুহার ছিল।
তার বাবার মৃত্যুর পর ইমরান খান সাহায্য লাভের জন্য একজন জিপির কাছে গিয়েছিলেন।
সহায়তা লাভের জন্য ইমরান খান যেখানে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেখানে বেশিরভাগ বাংলাদেশী পুরুষ সে-রকম উদ্যোগ নেন না বলে মনে করেন সাইকোলজিস্ট শাহ আলম।
মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ইসলাম ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এ নিয়ে ইমাম শেখ আব্দুল্লাহ্ হাসান কাজ করছেন।
বৃটিশ বোর্ড অফ স্কলারস অ্যান্ড ইমামস এর এই ইমাম সম্প্রতি একটি মেন্টাল হেলথ টুলকিট চালু করেছেন, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের জন্য।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আরও দেখুন:
ভারতীয় সংবাদ: ২৮ জুন ২০২১