২০১৮ সালে, উদ্বাস্তু এবং নতুন আগতদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে নিজ বাসভূমির অনুভূতি গড়ে তুলতে সিটি অফ সিডনি এবং সেটেলমেন্ট সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল বা এস এস আই একটি উদ্ভাবনী স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
এসএসআই-এর সংগঠক পলা বেন ডেভিড বলেন, ওয়েলকাম টু সিডনি নামে পরিচিত, এই প্রোগ্রামটি পারামাটা, ব্লু মাউন্টেন, ম্যানলি এবং বন্ডাইসহ বৃহত্তর সিডনিতে এখন আরও প্রসারিত হয়েছে।
পলা বলেন প্রোগ্রামটি আন্তঃসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাগুলিকে উৎসাহিত করে যেখানে নতুন আগত এবং প্রতিষ্ঠিত সিডনি বাসিন্দারা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে।
পলা বহুবছরের একাকীত্বের অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন বিদেশে। পলা বলেন যেসব স্বেচ্ছাসেবীরা ওয়েলকাম টু সিডনি প্রোগ্রামে সাহায্য করেন তারা ভীষণ ভালো।
পিকনিকের অতিথিদের মধ্যে একজন হলেন জনাথন। তিনি কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে দশ দিন আগে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছেন। তার কাছে আছে অনুদান হিসেবে পাওয়া একটি গিটার।
হাবিব এক বছর আগে সিরিয়া থেকে এসেছিলেন। তিনি বলেন যে কমিউনিটির অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা তাঁর জন্য প্রাথমিকভাবে কঠিন ছিল যার ফলে সে বৃহত্তর অস্ট্রেলিয়ান জীবনযাত্রায় অংশ নিতে পারত না।
হাবিব এখন ওয়েলকাম টু সিডনির অনেক স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে একজন। হাবিব একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং তিনি অন্যান্য শরণার্থী ইঞ্জিনিয়ারদের অস্ট্রেলিয়ায় তাদের ডিগ্রির স্বীকৃতি পেতে সহায়তা করেন।
নাসিম ইরাকের শরণার্থী এবং এবছরের শুরুতে তিনি এখানে এসেছেন। তিনি ইংরেজি শিখতে খুব আগ্রহী কিন্তু কিছু অস্ট্রেলিয়ান উচ্চারণ বুঝতে তার খুব সমস্যা হয়। নাসিম বলেন, অস্ট্রেলিয়ান ঐতিহ্যের সাথে সংযোগ স্থাপন জরুরি।
সিডনির মত মেলবোর্নেও শরনার্থীদের জন্য এমন কর্মসূচি আছে। এএমইএস অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার লরি নওয়েল বলেন, তাঁর সংস্থাটি তরুণ শরণার্থী, মা ও বাচ্চাদের গ্রুপের জন্য ইয়ুথ ক্যাম্প পরিচালনা করছে যেখানে নতুন মায়েরা একই রকম পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্টে অন্যান্য মহিলাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
লরি নওয়েল বলেন যে এএমইএসের স্পোর্টস ইভেন্টগুলি অনেক দেশের শরণার্থীদের কাছে জনপ্রিয়।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন