২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ভিসা প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
তবে ভিসা প্রতারণার আসল সংখ্যা ও এর শিকার ব্যক্তিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা যায়।
ভিক্টোরিয়ান ল’ ফার্ম Clothier Anderson এর সিনিয়র ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার সানমাতি ভার্মা বলেন, ভিসা-প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা অধিকাংশ সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করার মতো অবস্থায় থাকেন না।
ভিসা প্রতারণা নিয়ে এ বছরের শুরুর দিকে এসবিএস একটি তদন্ত-প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
মেলবোর্নের Monzer Kheder প্রায় দশ হাজার ডলার নিয়েছিল একটি পরিবারের কাছ থেকে। পরিবারটি সিরিয়া থেকে পালিয়ে এসেছিল এবং তারা সৌদি আরবে বসবাস করতো। তারা অস্ট্রেলিয়ায় আসতে চাচ্ছিল।
Monzer Kheder অনলাইনে Nour Al Habsi এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং নিজেকে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করেন। তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে তার ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে অস্ট্রেলিয়ান ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটাতে পারবেন।
সেই পরিবারটি এখনও সৌদি আরবে রয়েছে। তারা কোনো অস্ট্রেলিয়ান ভিসা পায় নি।
Mr Kheder রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্ট নন। তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি Al-Habsi পরিবারের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন। তবে তিনি অস্বীকার করে বলেন যে, তিনি কোনো ভুল করেন নি।
মিজ ভার্মা বলেন, এ ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখে নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার প্রয়োজন রয়েছে, বলেন তিনি।
মিজ ভার্মা বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় বহু সমস্যা রয়েছে।
মিজ ভার্মা বলেন, ভিসা-প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করাটা কঠিন। তারা যখন সঠিক ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভিসার আবেদন করেন তখন তাদের খরচও সবমিলিয়ে বেড়ে যায়।
ভিসা প্রতারণার শিকার হলে ডিপার্টমেন্টকে অবহিত করতে আহ্বান জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।