অস্ট্রেলিয়ার নতুন বায়োসিকিউরিটি আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুজন বাংলাদেশিসহ চারজন পর্যটকের ভিসা বাতিল

অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি কঠোর বায়োসিকিউরিটি আইন প্রবর্তন করেছে। গত এক মাসে এই আইনে যে সব বিদেশী যাত্রীরা তাদের সাথে আনা উদ্ভিদ এবং খাদ্যপণ্য কাস্টমস কার্ডে ঘোষণা করেননি তাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশিসহ চারজন পর্যটকের ভিসা বাতিল হয়ে গেছে। তবে কোন দেশের যাত্রীদেরই নাম প্রকাশ করা হয়নি।

Australian Biosecurity

যাত্রীদের সাথে আনা উদ্ভিদ Source: Australian Biosecurity/Facebook

মারাত্মক বায়োসিকিউরিটি আইন লঙ্ঘনের কারণে পার্থ বিমানবন্দরে বায়োসিকিউরিটি কর্মকর্তারা দুজন বাংলাদেশি যাত্রীর ভিজিটর ভিসা বাতিল করেছেন এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন। তারা তাদের সাথে বহন করা গাছ কাস্টমসে ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া তাদের জৈব সুরক্ষার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং তা শক্তিশালী করতে নতুন আইন প্রবর্তনের পরে এটি এক মাসের মধ্যে চতুর্থ ভিসা বাতিলের ঘটনা।

বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীরা তাদের কার্ডে চাল ঘোষণা করলেও তাদের লাগেজের মধ্যে  থাকা ২১টি জীবিত গাছের কথা উল্লেখ করেন নি।

অস্ট্রেলিয়ান বায়োসিকিউরিটির ফেইসবুক পেইজ থেকে বলা হয়েছে যে, গাছপালা অস্ট্রেলিয়ান নাজুক ইকোসিস্টেমের জন্য স্পষ্ট বিপদ ডেকে আনে - মাটি, পোকামাকড় এবং উদ্ভিদ জীবাণুগুলি অস্ট্রেলিয়ার দেশীয় উদ্ভিদ এবং প্রাণিকুলের গুরুতর ক্ষতি সাধন করে।

পানামা ডিজিজ ট্রপিকাল রেস ৪, জাইলা এবং সাইট্রাস ক্যানকার এমন উদ্ভিদজনিত রোগ অস্ট্রেলিয়ান কৃষি এবং হর্টিকালচার সিস্টেমকে পরিবর্তন করে দিতে পারে।

ভিজিটর ভিসায় আসা ওই যাত্রীরা এই আইন লঙ্ঘনের দায়ে পরবর্তী তিন বছর অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে আসার আবেদন করতে পারবেন না।

অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দারা এই আইন লঙ্ঘন করলে তাদের ফৌজদারি মামলা বা সিভিল কোর্টের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের বেলায় এই আইন লঙ্ঘন করলে চারশত বিশ হাজার ডলার পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হতে পারে।

এর আগে গত সপ্তাহে সিডনি বিমানবন্দরে বায়োসিকিউরিটি অফিসারগণ মারাত্মক বায়োসিকিউরিটি লঙ্ঘনের কারণে একজন যাত্রীর ভিজিটর ভিসা বাতিল করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে আগত যাত্রী তার যাত্রী কার্ডে ঝুঁকিপূর্ণ খাবারের পণ্য ঘোষনা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। যাত্রীর কাছে ছিল চার কেজি শুয়োরের মাংস ভর্তি কেক।
Bangladeshi community; Australian biosecurity
ভিয়েতনাম থেকে আগত যাত্রীর কাছে ছিল শুয়োরের মাংস ভর্তি কেক Source: Australian Biosecurity/Facebook
সম্প্রতি বর্ডার এলাকায় উচ্চ ঝুঁকির মাংসজাতীয় পণ্যের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি মুন কেকের ভেতর ফুট-এন্ড-মাউথ ডিজিজ (এফএমডি) এবং আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। 

মাংসজাতীয় পণ্যের সাথে বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশে  আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের (এএসএফ) ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগ অস্ট্রেলিয়ার কৃষিখাতকে বিরাট ঝুঁকির  মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

ভিয়েতনামের ওই যাত্রীও তিন বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আসার আবেদন করতে পারবেন না।

আরো জানতে ভিজিট করুন: 

Share
Published 7 November 2019 4:18pm
Updated 7 November 2019 4:22pm
Presented by Shahan Alam

Share this with family and friends