পাকিস্তানী অভিবাসী ইশতিয়াক আহমেদ যখন ভাবছিলেন যে তার পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কোথায় বসবাস করবেন, তখন তার তালিকায় প্রথম স্থানেই ছিল অ্যাডিলেইড।
৩২ বছর বয়সী এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ২০১৭ সালে তার স্ত্রী-সন্তানসহ অ্যাডিলেইডে আসেন। অচিরেই তিনি তার পছন্দ মতো ফিল্ডে কাজ খুঁজে পান।
মেলবোর্ন ও সিডনির জনবহুল স্থানগুলোতে অভিবাসন সীমিত করতে যাচ্ছে ফেডারাল সরকার। আর, মিস্টার আহমেদ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার কথা চিন্তা করছেন।
২০১৮ সালের একই সময়ের তুলনায় গত তিন মাসে অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিগুণেরও বেশি নতুন রিজিওনাল ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
আর, কুইন্সল্যান্ডে এই বৃদ্ধির হার জাতীয়ভাবে বৃদ্ধির হারের চেয়েও বেশি।
নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ার তুলনায় সাউথ অস্ট্রেলিয়াতেই বেশিরভাগ ভিসা প্রদান করা হয়েছে।
নভেম্বরে ফেডারাল সরকার স্কিলড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এর ফলে দক্ষ অভিবাসীদের জন্য বড় বড় নগরগুলোতে বসবাস করতে যাওয়াটা আরও কঠিন হবে। আর, রিজিওনাল এলাকাগুলোয় যাওয়াটা আরও সহজ হবে।
রাজধানী অ্যাডিলেইডসহ পুরো সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে এ উদ্দেশ্যে ফেডারাল সরকার রিজিওনাল এলাকা হিসেবে গণ্য করছে।
নতুন রিজিওনাল ভিসার শর্ত হিসেবে অভিবাসীদেরকে রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ায় তিন বছর সময়কাল পর্যন্ত বসবাস এবং কাজ করতে হবে। অন্যথায় তারা অস্ট্রেলিয়ার পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির জন্য বিবেচিত হবেন না।
অস্ট্রেলিয়ান পপুলেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর প্রেসিডেন্ট Bob Birrell এই স্ট্রাটেজির দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান মিনিস্টার ফর ইনোভেশন অ্যান্ড স্কিলস David Pisoni বলেন, এই রাজ্যের কোনো কোনো অংশে কাজের প্রায় অর্ধেক শূন্যপদ রয়েছে।
তিনি বলেন, অভিবাসী সংখ্যা নিরূপণের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোর আরও অবদান রাখা দরকার।
ইশতিয়াক আহমেদের ভিসায় বসবাসের ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। অস্ট্রেলিয়ার যে-কোনো অংশে তিনি বসবাস করতে পারেন। কিন্তু, অ্যাডিলেইড ছাড়ার কোনো পরিকল্পনাই তার নেই। তিনি আশা করেন তার পুরো পরিবার অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হবেন।
এটা এমনই এক স্বপ্ন যা অনেক অভিবাসীর নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।