বিদেশী পর্যটকদেরকে রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য আকৃষ্ট করতে ফেডারাল সরকার কাজ করছে।
সম্প্রতি প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায় এক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনা ফলপ্রসূ হয়েছে। দ্বিতীয় বছরের জন্য ওয়ার্কিং হলিডে মেকার ভিসা অনুমোদনের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইমিগ্রেশন মিনিস্টার ডেভিড কোলম্যান এই বৃদ্ধিকে স্বাগত জানান। তবে তিনি মনে করেন এখনো উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
এই ভিসাগুলো মূলত কম-বয়সী তরুণ-তরুণীদেরকে আকৃষ্ট করে, যারা মূলত কৃষিক্ষেত্রে মওসুমী কাজ করতে চান।
শুধু গত বছরেই ৪৩ হাজারেরও বেশি লোক এই ভিসায় কাজ করেছেন।
ন্যাশনাল ফার্মার্স ফেডারেশনের টনি মাহা বলেন, বিষয়টি আশাব্যঞ্জক হলেও এক্ষেত্রে আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।
সরকার আশা করছে আরও ১৩টি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক ভিসা-চুক্তির মাধ্যমে এক্ষেত্রে বিদ্যমান ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। বর্তমানে ৪৪টি দেশের সঙ্গে চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা মুক্ত-বাণিজ্য-চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহে সংসদে আলোচনা হবে। ইন্দোনেশিয়া-অস্ট্রেলিয়া কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে গত মার্চ মাসে।
এই চুক্তিটি পাশ হলে ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রতিবছর পাঁচ হাজার ওয়ার্কিং হলিডে মেকার ভিসা অনুমোদন করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার কৃষি-শিল্প এত্থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। ট্যারিফ-ফ্রি এক্সপোর্ট অ্যারেঞ্জমেন্ট, যার মধ্যে থাকবে বছরে ৫৭৫ হাজার গবাদি-পশু এবং ৫০০ হাজার টন পশু-খাদ্য।
ট্রেড মিনিস্টার সাইমন বার্মিংহ্যাম বলেন, এই চুক্তিটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য মঙ্গলজনক হবে।
এই চুক্তির ক্ষেত্রে বিরোধিতার মুখে পড়েছে সরকার। অস্থায়ী কর্মীদেরকে ঠকানো হবে বলে আশঙ্কা করছে ইউনিয়নগুলো।
লেবার দলের ফাইন্যান্স বিষয়ক মুখপাত্রী কেটি গালাঘার বলেন, বিরোধী দল যেখানে ব্যবসার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে সেখানে তারা এই চুক্তির অনুমোদন করবে না যতক্ষন পর্যন্ত না এ নিয়ে ভালভাবে আলোচনা করা হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে এই বাণিজ্য চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।