কানাডার অনুসরণে রিজিওনাল এলাকায় অভিবাসনে উৎসাহিত করছে অস্ট্রেলিয়া

কানাডায় প্রয়োজনীয় অভিবাসনের জন্য প্রদেশগুলোর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। কানাডার এই মডেল দেখে অনুপ্রাণিত হলেন অস্ট্রেলিয়ার পপুলেশন মিনিস্টার অ্যালান টাজ।

Population Minister Alan Tudge

Population Minister Alan Tudge Source: AAP Image/Mick Tsikas

অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার লেভেল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন পপুলেশন মিনিস্টার অ্যালান টাজ। অস্ট্রেলিয়ার রিজিওনাল এলাকাগুলোতে আরও বেশি বেশি অভিবাসী স্থানান্তর করার অনুপ্রেরণা লাভের জন্য এবার তিনি নজর দিচ্ছেন কানাডার দিকে।

এক্ষেত্রে কানাডার সাফল্যকে ছাড়িয়ে যেতে চান তিনি। কানাডাতে প্রভিন্স বা প্রদেশগুলোকে অভিবাসনের ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করার সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে। তাই দেশটির বড় বড় নগরগুলোর পরিবর্তে প্রদেশগুলোতে নতুন অভিবাসীরা বসবাস করতে যান।

সোমবার সিডনিতে একটি সভায় কানাডার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,

“যে প্রদেশ নবাগত অভিবাসীদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে তাদের জন্য সে প্রদেশে থাকাটা কোনো শর্ত নয়। তারপরও দেখা যাচ্ছে, একটি বড় অংশ সেই প্রদেশেই বসবাস করেন।”

গত মে মাসে ফেডারাল নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় শহরগুলো থেকে অভিবাসীদের ভীড় কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।

অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী অভিবাসীর বার্ষিক ক্যাপ বা কোটা বছরে ১৯০,০০০ থেকে ১৬০,০০০ এ কমিয়ে আনে সরকার। রিজিওনাল এলাকাগুলোতে দক্ষ কর্মীদের এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অভিবাসনের জন্য অধিকতর সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কথা বলেছে সরকার।

১৯৯০ এর দশকের শুরুতে কানাডা তাদের নীতিমালা পরিবর্তন করার আগে মাত্র ১০ শতাংশ অভিবাসী দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর বাইরে বসবাস করতেন।

তখন থেকে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১.৪ মিলিয়ন ব্যক্তি অভিবাসন করেছেন। এদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ অভিবাসী বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর বাইরে বসবাস করছেন।

মিস্টার টাজ কানাডার প্রোগ্রামের সাফল্য দেখে অভিবাসীদেরকে জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছেন এবং বিভিন্ন সহায়ক প্রোগ্রাম, কমিউনিটি নেটওয়ার্ক এবং কর্ম-সংস্থানে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদেরকে আকৃষ্ট করছেন।
Migrants will be forced to live on regional Australia  up to five years.
Migrants will be forced to live on regional Australia up to five years. Source: SBS News
তিনি বলেন,

“অভিবাসন নীতিমালা কীভাবে সুষমভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে তার চমৎকার উদাহরণ হলো কানাডা।”

মিস্টার টাজ আরও দেখছেন ইওরোপীয় দেশগুলো, যেমন জার্মেনি এবং ফ্রান্স কীভাবে দ্রুতগতির রেল-যোগাযোগের মাধ্যমে বড় বড় নগরগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোর যোগাযোগ রক্ষা করছে।

তিনি মনে করেন, মানুষ রিজিওনাল এলাকাগুলোতে বসবাস করতে পারে এবং প্রতিদিন কাজে যোগ দিতে ট্রেনে চেপে বড় শহরগুলোতে যাতায়াত করতে পারে।

আগামী ২০ বছরের মধ্যে মেলবোর্ন, সিডনি এবং ব্রিসবেনের বেশিরভাগ স্যাটেলাইট শহরগুলোকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও ভালভাবে সংযুক্ত করতে চায় ফেডারাল সরকার।

আগামী নভেম্বরে নতুন একটি স্থায়ী অভিবাসী ভিসার পাথওয়ে চালু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে দক্ষ অভিবাসীরা রিজিওনাল এলাকাগুলোতে কমপক্ষে তিন বছর কাজ করবে।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা একে স্বাগত জানালেও তারা সতর্ক করে বলেছে, রিজিওনাল এলাকাগুলোতে অভিবাসনে উৎসাহিত করার উদ্যোগগুলো ইতোপূর্বে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, বহু লোক সেসব এলাকায় প্রয়োজনীয় সময়কাল বসবাসের পর অবশেষে বড় শহরগুলোতে চলে এসেছে।

এ সম্পর্কে ইংরেজিতে আরও পড়ুন এই 

Follow SBS Bangla on .

Share
Published 23 September 2019 6:03pm
Updated 24 September 2019 9:00am
By Sikder Taher Ahmad

Share this with family and friends