২০২৮ সাল নাগাদ বছরে ভিসা আবেদনের সংখ্যা ১৩ মিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে। ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স বলছে, ভিসা প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং করা ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো বিকল্প সমাধান নেই।
৮০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে একটি ‘গ্লোবাল ডিজিটাল প্লাটফর্ম’ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে ফেডারাল সরকার।
ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর Malisa Golightly বলেন, এই পরিবর্তনের ফলে কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে যা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
Migration Institute of Australia (MIA) এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট John Hourigan বলেন, এই প্লাটফর্মের বাস্তবায়ন সমর্থন করে না তার প্রতিষ্ঠান।
Senate Legal and Constitutional Affairs Committee এর শুনানিতে Community and Public Sector Union এর Michael Tull উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ভিসা-আবেদন-প্রক্রিয়াকরণ বেসরকারি খাতে দেওয়া হলে কোনো কোনো আবেদনকারী প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পতিত হবেন।
Community and Public Sector Union এর Melissa Donnelly এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের উদাহরণ দেন।
Public Services International এর Michael Whaites ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণে বেসরকারি খাতের ব্যবহারের কুফল তুলে ধরেন। তিনিও যুক্তরাজ্যের উদাহরণ দেন।
ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি Dr Abul Rizvi বলেন, মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ের ফলে পুরো ইমিগ্রেশন সিস্টেমের নিরাপত্তা ঝুঁকিগ্রস্ত হবে।
আরও শঙ্কা রয়েছে যে, এর ফলে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ মনুষ্যবিহীন রূপ ধারণ করবে। শিক্ষার্থী ভিসার অনুমোদনের ক্ষেত্রে এখন ২৮টি ধাপ পার হতে হয়। এর ফলে ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্সের হাতে মাত্র একটি ধাপ থাকবে।
তবে, হোম অ্যাফেয়ার্স-এর Malisa Golightly বলেন, ভিসা প্রক্রিয়াকরণের বিষয়টি পুরোপুরি কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে পরিণত হবে না।
সমর্থকরা বলছে, পরিবর্তন এবং সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলোর ফলে প্রভাবিত হবেন অসহায় আশ্রয়প্রার্থীরা।
সরকার বেসরকারিভাবে পরিচালিত এই প্লাটফর্মটি আগামী বছরে অনলাইনে আনতে চাচ্ছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।