অস্ট্রেলিয়ার ভিসা-আবেদন ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন একটি অনলাইন সিস্টেম পরিচালনা করতে চাচ্ছে হোম অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট। সেজন্য তারা একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার পরিকল্পনা করছে।
সম্প্রতি সিনেট এস্টিমেটস-এর শুনানীতে ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা বলেন, তারা স্কট মরিসন মন্ত্রীসভার অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনুমোদন পেলে তারা একটি ফার্ম বেছে নিতে পারবেন।
এই প্রকল্পের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে দশটিরও বেশি ফার্ম। এর জন্য অবশ্য সংশ্লিষ্ট ফার্মটিকে ১০ বছর সময়কালে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। সময়ের সাথে সাথে বিনিয়োগকৃত এই অর্থ অনেক বড় অঙ্কের মুনাফাসহ উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হোম অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি মাইকেল পেজুলো বলেন, প্রচুর ভিসা-আবেদন জমা পড়ে, যা নিয়ে হিমশিম খায় ডিপার্টমেন্ট।
একটি সিনেট এস্টিমেটস কমিটিকে তিনি বলেন,
“আমি এটাকে সুনামি বলবো না, তবে উত্তাল তরঙ্গের মতো আবেদনগুলো আমাদের কাছে আসে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন “লিগ্যাসি” কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহারের জন্য ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা “মাল্টিপল লগইন” ব্যবহার করেন। এর ফলে তারা ক্লায়েন্টের পরিচয় সম্পর্কে খণ্ডিত ধারণা পান।
লেবার দলের সিনেটররা ডিপার্টমেন্টকে প্রশ্ন করেন, প্রাইভেট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করা হলে এর ফলে ভিসা ফিজ বাড়বে কি না?
হোম অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তারা জবাবে বলেন, চুক্তি সম্পাদন করার সময়ে ফিজ ও চার্জ সম্পর্কে সরকার “বিবেচনা” করবে। আর, চুক্তির মধ্যে তা উল্লেখ করা হবে।
এর ফলে কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে কি না - এই প্রশ্নে জবাবে মিস্টার পেজুলো বলেন, এই পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মীও ছাঁটাই করার পরিকল্পনা তিনি করেন নি।
ভিসা-সিদ্ধান্ত সরকারের হাতেই থাকবে
সিনেট এস্টিমেটস শুনানীর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী লিন্ডা রেনল্ডস কমিটিকে স্মরণ করিয়ে দেন, হোম অ্যাফেয়ার্স-এর সরকারি কর্মকর্তারা যাবতীয় ভিসা-সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
সিনেটর রেনল্ডস বলেন,
“ভিসা সিস্টেম ব্যক্তিমালিকানাধীন করাটা সরকারের নীতি এবং অভিপ্রায় নয়। ডিপার্টমেন্টের আইটি সিস্টেমকে সহায়তা করার জন্য তারা একটি প্রাইভেট পার্টনার খুঁজছে।”
“তারা কোনোভাবেই ভিসা-সিদ্ধান্তগুলো আউটসোর্সিং করছেন না।”