কোনো দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী, তা নির্ভর করে ওই পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়। ভিসা ছাড়া যাওয়া বলতে বোঝায় ‘অন অ্যারাইভাল বা আগমনী ভিসা’, যা বিমানবন্দর থেকে নিতে হয়। সহজভাবে বললে, অগ্রিম ভিসা না করে শুধু টিকিট কেটে অন্য দেশে চলে যাওয়া যায়।
গত বুধবার পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক সূচক প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। ওই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম। গত বছর যা ছিল ১০০তম। সূচকে ভারতের অবস্থান ৭৯তম। আর পাকিস্তান রয়েছে ১০২-এ।
বর্তমান সূচক অনুযায়ী শুধু বৈধ পাসপোর্ট হলেই বিশ্বের ৪১টি দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশীরা। দেশগুলো হলো এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পূর্ব তিমুর। ওশেনিয়ার কুক নিউয়ি, সামোয়া, ট্রুভালু, আইসল্যান্ড ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, ভানুয়াতু। আফ্রিকার বেনিন, কেপ ভার্দে আইসল্যান্ড, ঘানা, কোমোরেস, দি জিবুতি, গাম্বিয়া, কেনিয়া, লিসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সিশিলিস, সোমালিয়া, টোগো, উগান্ডা। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বাহামা, হাইতি, জ্যামাইকা, মন্টসারাত, বার্বাডোজ, ব্রিটিশ ভার্জিন আইসল্যান্ড, ডোমেনিকা, গ্রানাডা, সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস, সেন্ট ভেনিস এন্ড গ্রানাডিস, ত্রিনিদাদ ও টোবাকো। আমেরিকায় বলিভিয়া।
আর পাকিস্তানী নাগরিকরা যেতে পারবেন ৩৩টি দেশে।আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার ভ্রমণ তথ্যভাণ্ডারের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবছর এ সূচক তৈরি করে হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। সূচকে দেশভিত্তিক নম্বর দেওয়া রয়েছে। এ নম্বরটি হচ্ছে একটি দেশ আগমনী ভিসা নিয়ে বিশ্বের কতটি দেশে যেতে পারে তার ওপর নির্ভর করে।
এ বছর বৈশ্বিক পাসপোর্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৯৭তম ধাপে বাংলাদেশ। ছবি: হ্যানলি অ্যান্ড পাসপোর্ট পার্টনার্স। Source: Supplied
১৯০ দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা নিয়ে তালিকার প্রথমে রয়েছে জাপানি পাসপোর্ট। পরের স্থানে যৌথভাবে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ান পাসপোর্ট; এ দুইটি দেশের নাগরিকরা ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবেন ১৮৯টি দেশে।
সূচকে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান দশম। বৈধ পাসপোর্টে বিশ্বের ১৮১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন অজিরা। একই অবস্থানে রয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
৩০টি দেশে ভিসা ফ্রি সুবিধা নিয়ে তালিকার সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে ইরাক ও আফগানিস্তান।