গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- ৭.৮ এবং ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪,০০০ ছাড়িয়ে গেছে, আরো অন্তত ১৩,০০০ মানুষ আহত হয়েছে
- জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চেয়েছে সিরিয়া।
- জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দেশগুলোকে সাহায্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন
তুরস্ক ও সিরিয়ায় দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভূমিকম্প পরবর্তী বড় বড় কম্পনে এই অঞ্চল ক্রমাগত কেঁপে উঠছে।
৭.৮ এবং ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪,০০০ ছাড়িয়ে গেছে, আরো অন্তত ১৩,০০০ মানুষ আহত হয়েছে।
ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া একজন হাসান বীরবলতা, তার নাতি-নাতনিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে এ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় আছেন।
জুলেহা কায়নারকা বলছেন যে তিনি প্রায় মারাই যাচ্ছিলেন, ভাগ্যের জোরে বেঁচে আছেন।
তবে অন্যরা এত ভাগ্যবান ছিল না। গুলে ইল-কুটলি বলছেন কোন জরুরী সহায়তা নেই, এবং তিনি তার আটকে থাকা ভাই এবং মায়ের জন্য চরম উৎকণ্ঠায় আছেন।
ইরাকের কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার সোমবার রাতে তুরস্কে সাহায্যের জন্য তাদের প্রথম কনভয় পাঠিয়েছে।
কনভয়টিতে ২৫ টি অ্যাম্বুলেন্স এবং প্রাথমিক চিকিৎসা, রসদ এবং বিশেষায়িত উদ্ধারকারী দল বহনকারী বেশ কয়েকটি ট্রাক ছিল।
ইরাকের কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেবার আহমেদ বলেছেন, তারা কাজ শুরু করছেন।
তিনি বলেছেন যে কুর্দি দল উত্তর সিরিয়াতেও সাহায্য করবে। সিরিয়া ইতিমধ্যে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত।
জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চেয়েছে সিরিয়া।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্রের স্থায়ী মিশন বাসাম সাব্বাগ বলেছেন যে, তার দেশের মানবিক সাহায্যের তীব্র প্রয়োজন।
মি. সাব্বাগ আরো বলেছেন যে গৃহযুদ্ধ, যেটি এখনও চলছে, এই বিপর্যয়ের প্রভাবকে আরো ভয়ানক করে তুলেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দেশগুলোকে সাহায্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
মি. গুতেরেস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের অনেকেই উদ্বাস্তু।
"শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসাবে আমার মেয়াদকালে, আমি ওই এলাকায় কাজ করার জন্য বেশ কয়েকবার গিয়েছি, এবং ওই এলাকার মানুষের অসাধারণ উদারতার কথা আমি কখনই ভুলব না।"
এদিকে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তুর্কি এবং সিরিয়ান নাগরিকরা ভূমিকম্পের প্রতিক্রিয়ায় চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে।
The death toll from two devastating earthquakes in Turkey and Syria continues to rise. Source: AP / Mustafa Karali/AP/AAP Image
অস্ট্রেলিয়ান সিরিয়ান এসোসিয়েশনের এক্সেকিউটিভ সেক্রেটারি ড. মনথার আহমাদুস বলেন, তার দুই ভাই এবং পিতামাতা তুরষ্কের দক্ষিণপূর্বের এলাকা গাজিয়ানটেপের একটি শরণার্থী শিবিরে আছে, এবং এই জায়গাটি ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল।
"সেখানেই তারা ভূমিকম্পের কাঁপুনিতে জেগে উঠে। তারা বেঁচে গেলেও এখন শূন্য ডিগ্রীর কনকনে ঠান্ডার মধ্যে গাড়িতে রাত কাটাচ্ছে, কারণ ভবনগুলোতে ফায়ার যাওয়া মোটেই নিরাপদ নয়।"
গত একশ বছরে অনেক বড় বড় ভূমিকম্পে তুরস্ক বিধ্বস্ত হয়েছে। এমনি ভূমিকম্পে ১৯৩৯ সালে ৩৩,০০০ এবং ১৯৯৯ সালে ১৭,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: