ভিক্টোরিয়ায় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা গেছে, মেলবোর্নসহ পুরো ভিক্টোরিয়া রাজ্য জুড়ে, সিডনি এবং ক্যানবেরার মতো দূরবর্তী এলাকায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
জিওসায়েন্স অস্ট্রেলিয়া বলছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মেলবোর্ন থেকে ১৮০
কিলোমিটার উত্তর -পূর্বে ম্যানসফিল্ডে, যা বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯.১৫ মি:-এ আঘাত হানে।
জিওসায়েন্স অস্ট্রেলিয়া আরও ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন বা আফটারশক রেকর্ড করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায় যে, চ্যাপেল স্ট্রিট এবং সাউথ ইয়ারাসহ মেলবোর্নের ব্যস্ত নিকটবর্তী এলাকাগুলোর ভবনের কাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্টগুলিতেও দেখা যায় যে মানুষ ভূমিকম্পের প্রভাব সিডনি এবং ক্যানবেরার মত দূরবর্তী এলাকার পাশাপাশি রিজিওনাল ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত অনুভব করেছে।
ম্যানসফিল্ডের মেয়র মার্ক হলকম্বি বলেছেন, তিনি এই শহরে ২০ বছর ধরে বসবাস করছেন, কিন্তু আগের যে কোন অভিজ্ঞতা থেকে এটি ছিল ভিন্ন।
তিনি এবিসিকে বলেন, "আমি আমার ডেস্কে বসে কাজ করছিলাম এবং বাইরে দৌড়ে চলে যাই। কি হচ্ছে তা বুঝতে আমার একটু সময় লেগেছিল।"
"আমার এর আগেও বিদেশে ভূমিকম্পনের অভিজ্ঞতা হয়েছিল এবং এটা আমার আগের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক বেশি সময় ধরে চলেছে বলে মনে হয়েছে। অন্য যে জিনিসটি আমাকে অবাক করেছে তা ছিল এর প্রচন্ড শব্দ, মনে হচ্ছিলো সামনে দিয়ে কোন একটা ট্রাক যাচ্ছিল।"
তবে এটা বোঝা যাচ্ছে, যে ভূমিকম্পটি অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হেনেছে তা এর আগের শক্তিশালী ভুমিকম্পগুলোর একটি।
উল্লেখ্য যে ১৯৮৯ সালে নিউক্যাসল এলাকার ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৩ জন নিহত হয়েছিল।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
ভূমিকম্প সম্পর্কে জানানোর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, "ফেডারেল সরকার যে কোন সাহায্য করার জন্য তৈরী, প্রয়োজন হলে প্রতিরক্ষা বাহিনী বা অন্যান্য সংস্থাগুলো সাহায্য করবে।"
তিনি বলেন যে, এখনো পর্যন্ত তিনি গুরুতর আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও রিপোর্ট পাননি।
আরও দেখুন: