আন্তর্জাতিক পণ্য-পরিবহনের খরচও বিগত ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই দ্রব্য-মূল্য বৃদ্ধি করেছে বহু পণ্য-সরবরাহকারী। তবে, অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় রিটেইলাররা আত্মবিশ্বাসী যে, এই ক্রিসমাসের সময়টিতে ভোক্তাদের ওপরে এসবের কোনো প্রভাব পড়বে না।
অস্ট্রেলিয়াতে ইনডিয়ান গ্রোসারির দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানীকারী হলো ‘ইনডিয়া ফুড’। তবে, এই কোম্পানিটি এখন গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য সংগ্রাম করছে। এই কোম্পানির মুরালি বলেন পণ্য-পরিবহনের ক্ষেত্রে উচ্চ-মূল্যের কারণে বহু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
তিনি বলেন, বন্দরগুলোতে ব্যাকলগের কারণে পণ্য আমদানিতে বহু বিলম্ব হচ্ছে।
ব্লুমবার্গ ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড লজিস্টিক অ্যানালিস্ট জেমস টিও বলেন, বৈশ্বিক সরবরাহ-শৃঙ্খল বাঁধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে ছোট-বড় সকল রিটেইলার বা খুচরা বিক্রেতার সমস্যা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীরা পণ্য-মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ফলে, ইভ-এর মতো ব্যবসা-মালিকেরা ভোক্তাদের কাছে উচ্চ মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তার ফ্রেঞ্চ পটিসরি, অর্থাৎ, প্যাস্ট্রির দোকানে এর প্রভাব নিয়ে তিনি চিন্তিত।
তবে, রিটেইলার বিগ ডব্লিউ ভোক্তাদেরকে পুনরায় আশ্বস্ত করে বলেছে যে, ক্রিসমাসের সময়ে সরবরাহ-শৃঙ্খল সমস্যা ভোক্তাদের ওপরে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এক বিবৃতিতে বিগ ডব্লিউ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্রিসমাসের অর্ডার ইতোমধ্যে ‘জলপথে রওনা হয়ে গেছে’ এবং অস্ট্রেলিয়ায় আসার পথে রয়েছে। আগামী মাসগুলোতে ক্রেতাদের জন্য প্রচুর পণ্য থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে তারা।
তবে, বিশ্লেষক জেমস টিও এতে সন্তুষ্ট নন।
পণ্য মজুদ করা ও আমদানি-রপ্তানি নিয়ে শুধু রিটেইল খাত বা খুচরা ব্যবসায়ীরাই চিন্তিত নন। ফ্রেইট অ্যান্ড ট্রেড অ্যালায়েন্সের পল জালাই বলেন, অস্ট্রেলিয়ার কৃষি খাতের রপ্তানিকারকেরা পণ্য-পরিবহনের এই বিলম্বের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আরও দেখুন:
কি দেখে বুঝবেন মনের অসুখ হয়েছে