আইনজীবী বোচো হাই মারমা কাজ করছেন ক্রিমিনাল এবং ফ্যামিলি ল' নিয়ে, পাশাপাশি ইমিগ্র্যাশন, লাইসেন্সিং এবং এনআরবি সার্ভিসও দিচ্ছেন।
মিঃ মারমা বাংলাদেশের অন্যতম পার্ব্যত্য জেলা বান্দরবনে বড় হয়েছেন, তবে সপ্তম শ্রেণী থেকে কুমিল্লা ইস্পাহানি স্কুল, এবং ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।
তিনি বলেন, আইনজীবী হবেন এমন ইচ্ছা প্রথমে ছিল না। তবে তার পিতামহ ছিলেন তাদের কমিউনিটির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, তার আইনে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা না থাকলেও প্রথাগত আইন নিয়ে কাজ করতেন। তাই আইন পেশা নিয়ে তার একটা প্রভাব তার নিজের মধ্যে কাজ করেছে বলে মনে করেন মিঃ মারমা।
বোচো হাই মারমা অস্ট্রেলিয়ায় আসেন ২০১২ সালে, থাকতেন মেলবোর্নে।
তিনি বলেন, "প্রথমে যখন অস্ট্রেলিয়ায় আসি সেটা অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি ছিল। নতুন দেশ, নতুন পরিবেশ, একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। আবার একই কারণে সেইসাথে একটু ভয়ও লাগতো, নতুন পরিবেশের সাথে এডজাস্ট হওয়া, একটা পার্ট টাইম চাকরি পাওয়া...সব মিলিয়ে একটা মিশ্র অনুভূতি।"
অস্ট্রেলিয়ায় আইন পেশায় কাজ করতে অভিবাসীদের সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি।
"তবে আইন পেশায় আসতে হলে একটা নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে আসতে হবে। প্রথমে একাডেমিক লেভেল বা এলএলবি পাশ করতে হবে, এরপর প্রাকটিক্যাল লিগ্যাল ট্রেনিং বা পিএলটি, তারপর একটা ল' ফার্মে কাজ করে অভিজ্ঞতা নিতে হবে।"
Mr Bocha Hai Marma arrived in Australia in 2012 to pursue his law degree. Source: Bocha Hai Marma
মিঃ মারমা এনআরবি সার্ভিস প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা যারা নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশী তাদের বাংলাদেশে কোন না কোন সমস্যা থাকেই, যেমন জমি কেনা-বেচা, ডিভোর্স, ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট, পাওয়ার অফ এটর্নি ইত্যাদি সার্ভিসগুলো আমরা দিয়ে থাকি।"
তিনি বলেন, "এনআরবি সার্ভিস একটি ইউনিক সার্ভিস, এই সার্ভিসগুলো অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া খুব কঠিন এবং অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের ল' ফার্ম সিডনী থেকে এই সার্ভিসগুলো দিচ্ছে, বাংলাদেশে আমাদের সহযোগী আইনজীবীরা আছেন।"
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়ছে, সেইসাথে বিভিন্ন পেশায় সফলও হচ্ছেন তারা। তবে ভূ-প্রকৃতিগত এবং রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের সুযোগ এখনো অনেক কম।
বো চো হাই মারমা বলেন, "একজন সমতলের বাসিন্দা যেমন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন, পাহাড়ের প্রত্যন্ত-দুর্গম অঞ্চলের বাসিন্দারা সেই সুবিধা বা সুযোগটা পান না। তাদের সন্তানদের স্কুলে যেতে হয় মাইলের পর মাইল হেটে।"
"আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট মেধাবী, একটু সুযোগ পেলেই ওরা উঠে আসবে," বলেন মিঃ মারমা।
মিঃ বোচো হাই মারমার পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
আরও দেখুন: