২০০৩ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় দোভাষী এবং অনুবাদক হিসেবে কাজ করছেন ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন।
এসবিএস বাংলার ফেসবুকে প্রতিদিন সকাল এগারটায় নিউ সাউথ ওয়েলস সরকারের প্রেস কনফারেন্স সরাসরি বাংলায় অনুবাদ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা, সেই হিসাবগুলো বলতে কষ্ট বোধ করি। যারা আইসিইউ-তে আছেন, তাদের কথা বলতে, যারা ভেন্টিলেশনে আছেন, তাদের কথা বলতে, এবং অবশ্যই, যাদেরকে আমরা হারাচ্ছি, এই তথ্যগুলো বলতে অবশ্যই খারাপ বোধ হয়।”
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
তবে, নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে পেরে তিনি খুশি, বলেন তিনি।
অনুবাদক এবং দোভাষীর কাজের মাঝে বিদ্যমান বিভিন্ন মিল-অমিলের কথা তুলে ধরেন ড. আরেফিন। তার মতে, “এ দুটি কাজই খুবই চ্যালেঞ্জিং।”
“অনুবাদটা হচ্ছে লিখিত রূপ আর দোভাষীর কাজটা মৌখিক রূপ।”
তিনি বলেন, অনুবাদের ক্ষেত্রে সাধারণত সময় পাওয়া যায়; কিন্তু, দোভাষীর কাজের ক্ষেত্রে অনেকসময় ততোটা সময় পাওয়া যায় না, বক্তার কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দোভাষীর কাজ করতে হয়।
“দোভাষীর কাজের ক্ষেত্রে ভোকাবুলারি বা সঞ্চিত শব্দ-ভাণ্ডার অনেক সমৃদ্ধ হতে হয়। নাহলে, তৎক্ষণাৎ যথোপযুক্ত শব্দের প্রয়োগ করা যায় না।”
ড. আরেফিন বলেন,
“অস্ট্রেলিয়ায় অনুবাদক এবং দোভাষীর চাহিদা রয়েছে। আমার ধারণা, এটা আরও বৃদ্ধি পাবে।”
ভাল দোভাষীর এবং ভাল অনুবাদকের চাহিদা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুবাদক ও দোভাষী হিসেবে কাজ করতে হলে National Accreditation Authority for Translators and Interpreters () এর অনুমোদন নিতে হয়। এর বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে বলেন ড. আরেফিন।ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিনের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
ড. আরেফিন বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় অনুবাদক এবং দোভাষীর চাহিদা রয়েছে। আমার ধারণা, এটা আরও বৃদ্ধি পাবে।” Source: Supplied by Dr Mohammad Shamsul Arafeen