হাইলাইটস
- অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম বাংলাদেশী উপাচার্য ড. অমিত চাকমা।
- জুলাই, ২০২০ তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
- “বাংলাদেশী কমিউনিটি অব ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া” তাকে ২১ নভেম্বর ২০২০ সংবর্ধনা দিয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর ২০২০ বিকেলে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী শহর পার্থের ‘লিডারভীল টাউন হল’ মিলনায়তনে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ইউ-ডব্লিউ-এ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. অমিত চাকমাকে। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি অস্ট্রেলিয়ার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য কাজ করছেন। এ বছরের জুলাই মাসে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের রাঙ্গামাটিতে জন্মগ্রহণ করা অধ্যাপক ড. অমিত চাকমা এর আগে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অনটারিও’র ১০ম প্রেসিডেন্ট এবং উপাচার্য হিসেবে ২০০৯-১৯ সাল পর্যন্ত ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেন।স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। এতে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. অমিত চাকমা ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া’র বাংলাদেশী কমিউনিটির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২০ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার কোনো বিশ্বিবিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. অমিত চাকমা-ই প্রথম বাংলাদেশী যিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। জুলাই, ২০২০ এ তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। Source: UWA Society of Bangladeshi Culture-USBC
এ সময় অধ্যাপক ড. অমিত চাকমাকে বর্তমান ছাত্রদের সংগঠন “ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া সোস্যাইটি অব বাংলাদেশী সংস্কৃতি- ইউএসবিসি”র পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়।
আপনারা আমাকে দেশের কৃতি সন্তান বলছেন; কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সবাই অনেক মেধাবী।
ইউ.ডব্লিউ.এ-এর বাংলাদেশী কমিউনিটির আগামি প্রজন্ম ও সদস্যদের পরিবেশনায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. অমিত চাকমা নিজের জীবনের বিভিন্ন বিষয় উপস্থিত সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেন।
এসময় তিনি বলেন, “আপনারা আমাকে দেশের কৃতি সন্তান বলছেন; কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সবাই অনেক মেধাবী।”
নিজেকে ভাগ্যে বিশ্বাসী বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. অমিত চাকমা বলেন, “আমি যখন যে কাজটি করেছি তখন তাতে আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ঢেলে দিয়েছি।” নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা প্রয়োগ করাকে যে কোনো সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।অনুষ্ঠানটির সাংস্কৃতিক পর্বে অস্ট্রেলিায়ায় বেড়ে ওঠা কমিউনিটির আগামি প্রজন্মের শিশু-কিশোররা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে। এছাড়াও প্রবাসি বাংলাদেশীদের উপস্থাপনায় দেশাত্ববোধক গান, নাচ, আদিবাসী নাচ, কবিতা আবৃতি ইত্যাদি মঞ্চায়িত হয়। আর সাংস্কৃতিক পর্বের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দর্শকদের অনুরোধে অধ্যাপক ড. অমিত চাকমা এবং মীনা চাকমার পরিবেশনায় চাকমা ভাষায় গান পরিবেশন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিায়ায় বেড়ে ওঠা কমিউনিটির আগামি প্রজন্মের শিশু-কিশোররা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে। Source: UWA Society of Bangladeshi Culture-USBC
আমি যখন যে কাজটি করেছি তখন তাতে আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ঢেলে দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে ইউ-এস-বি-সি’র জেষ্ঠ্য সদস্যরা জনাব মো. বশিরুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন, হাসনাইন বিন তারেক, শাহেদুল ইসলাম, তারিক-উল-ইসলাম খন্দকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ইউ-এস-বি-সি’র সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আরিফ, সহ-সভাপতি মো.ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া, কোষাধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো.মঈনুল ইসলাম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক তাসমিনা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি