অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের জন্য প্রতিবছর অসংখ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আগমন করে থাকেন। এটি অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ-বৃহত্তম রপ্তানি খাত। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ৭৫৮,১৫৪ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিলেন। আর, ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে এই খাতের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াডলার অর্জন করে। ২৯ মার্চ ২০২০ নাগাদ অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬৮,৬০৫ জন শিক্ষার্থী ভিসায় ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সমাজে এবং অর্থনীতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গভীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এবং স্থায়ী অভিবাসীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ভিসা স্ট্যাটাস বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়টি প্রকটভাবে ফুটে উঠে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে। এই সঙ্কটকালে বহু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী তাদের কাজ হারিয়েছে এবং আর্থিক কষ্টে নিপতিত হয়েছে। সরকারের ঘোষিত জবসিকার এবং জবকিপার স্কিমগুলো থেকে তারা কোনো সুবিধা লাভ করে নি এবং সেন্টারলিঙ্কের সহায়তা পাওয়ার জন্যও তারা উপযুক্ততা লাভ করে নি। কোনো কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এবং চ্যারিটি তাদের সহায়তায় এগিয়ে এলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
কোভিড-১৯ এর এই সঙ্কটময় সময়ে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নিজের আইনী অধিকার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকার প্রয়োজন আছে। নিউ সাউথ ওয়েলসে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরকে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার। ২০১৯ সালে তারা এ বিষয়ক একটি অ্যাপ তৈরি করে। অ্যাপটির নাম । এক্ষেত্রে তাদেরকে সহায়তা করেছে স্টাডি এনএসডব্লিউ, সিটি অফ সিডনি এবং দ্য ফেয়ার ওয়ার্ক ওমবাডসম্যান। এটি তৈরি করে দিয়েছে রেডফার্ন লিগাল সেন্টার আর এটি ব্যবহার করা হয় প্র্যাক্টেরা টেকনলজি সফ্টওয়ার প্লাটফর্ম থেকে।
Source: Flickr
কোন ধরনের সেবা পাওয়া যাবে?
তাৎক্ষণিকভাবে বিনামূল্যে আইনী পরামর্শ পাওয়া যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন আইন সম্পর্কে সাধারণভাবে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
মূলত চারটি ক্ষেত্রে এই সেবা পাওয়া যাবে: কর্ম-সংস্থান, আবাসন, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কলহ এবং যৌন নিপীড়ন।
ইংরেজি ছাড়াও আরও ছয়টি ভাষায় এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। এগুলো হলো: চীনা, হিন্দি, কোরিয়ান, পর্তুগিজ, থাই এবং ভিয়েতনামিজ।
ভিডিও-ভিত্তিক, ফেস-টু-ফেস আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করা হবে। ছোট ছোট প্রশ্নের মাধ্যমে, হ্যাঁ/না উত্তরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আইনী সমস্যার সমাধানে সহায়তা করা হবে।
কারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন?
নিউ সাউথ ওয়েলসে বসবাসরত এবং এ রাজ্যে কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
নিউ সাউথ ওয়েলসের কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেকে সম্প্রতি পড়াশোনা সম্পন্ন করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে সাবক্লাস ৫০০, ৪০৮ এবং ৪৮৫ ভিসাধারীরা।
কীভাবে আবেদন করবেন?
আপনি যদি এর উপযুক্ত হন তাহলে আপনাকে অ্যাপটি অ্যাকসেস করার লিঙ্কসহ ‘ওয়েলকাম অ্যান্ড রেজিস্টার’ ইমেইল পাঠানো হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ছাত্র মোরসালিন খান দীপ্তকে এই অ্যাপটির কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তিনি এ সম্পর্কে অবহিত নন।