প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জবকিপার প্রোগ্রামের হিসেবে ভুলের দায়িত্ব স্বীকার করেছেন, এই স্কীমে ৬০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হবে বলে এর আগে হিসেব করা হয়েছিল।
সরকার গত শুক্রবার এই সাবসিডি স্কীমের ব্যয় হিসেব করে দেখেছে যে এটিতে যা খরচ হওয়ার কথা তার চেয়ে অর্ধেক খরচ হবে, এজন্য ৬.৫ মিলিয়ন লোককে যে পেমেন্ট দেয়া হবে বলে এর আগে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল তা আসলে হবে ৩.৫ মিলিয়ন।
মিঃ মরিসন এজন্য অনিশ্চয়তাকে দুষছেন, তবে বলেন যে এটি আসলে ভালো খবর।
এদিকে বিরোধীদল ফেডারেল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গকে সিনেট কমিটিতে প্রমান দিতে আহবান জানিয়েছে যে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকার কি করেছে।
এই কমিটির চেয়ার লেবার সিনেটর কেটি গ্যালাগার মিঃ ফ্রাইডেনবার্গের প্রতি এই ভুল কিভাবে হলো তা ব্যাখ্যা করতে এবং জবকিপারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কমিটি ট্রেজারারকে বাধ্য করতে পারে না, কিন্তু তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইতে পারে।
কিন্তু প্রধামন্ত্রী এই বিষয়টিকে 'স্ট্যান্ট' বা 'মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা' বলে অভিহিত করেছেন।
মরিসন সরকার আকস্মিক পাওয়া এই ৬০ বিলিয়ন ডলার জবকিপার স্কীমে আরো কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার ধারণা বাতিল করেছেন।
পাক্ষিক ১৫০০ ডলারের এই ওয়েজ সাবসিডি স্কীম থেকে ক্যাজুয়াল কর্মী, অস্থায়ী ভিসাধারী, শিল্পকলা এবং টারশিয়ারি শিক্ষা কর্মী, বিদেশীদের দ্বারা পরিচালিত কোম্পানীর কর্মীদের বাদ দেয়া হয়েছে।
মিঃ মরিসন বলেন, তিনি করদাতাদের অর্থের ওপর বোঝা চাপিয়ে দিতে অনাগ্রহী, তারা ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ান কর্মীদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন যাতে ব্যয় হচ্ছে ১৫০ বিলিয়ন ডলার।
ট্রেজারার বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা ইতিমধ্যেই জবসিকার পেমেন্টের মত কর্মসূচির মাধ্যমে যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছে।
মিঃ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, বেকারদের জন্য সরকার জবসিকারদের পেমেন্ট দ্বিগুন করেছে এবং পর্যটন, ইউনিভার্সিটি এবং শিল্পকলা খাতে সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি 3AW রেডিওকে বলেন, সমস্ত ওয়ার্কফোর্সের অর্ধেকই তাদের অর্থনৈতিক সহায়তার মধ্যে আছে।
এদিকে কিছু কর্মী জবসিকার পেমেন্টের জন্য যোগ্য নন, এদের মধ্যে আছে অভিবাসী কর্মী এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
বিরোধীদল এর আগে জবকিপার স্কীমে ক্যাজুয়াল কর্মী এবং ডিনাটার মত বিদেশী-মালিকানার কর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলো।
লেবার সিনেটর পেনি ওং এবিসি'কে বলেন, পার্টির অবস্থান তারা পরিবর্তন করেননি, কিন্তু শেষমেশ এটা সরকারেরই সিদ্ধান্ত এই ৬০ বিলিয়ন ডলার তারা কোথায় ব্যয় করবে।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে আপনার ভাষায় হালনাগাদ তথ্যের জন্য ভিজিট করুন sbs.com.au/coronavirus
আরো পড়ুন: