অস্ট্রেলিয়ায় বেকারত্বের হার ৬.২ শতাংশে পৌঁছেছে

A close up of a Centrelink sign in Norwood,

A close up of a Centrelink sign in Norwood, Source: AAP

অস্ট্রেলিয়ায় গত এপ্রিল মাসে ৫৯৪ হাজারেরও বেশি লোক কাজ হারিয়েছে, বেকারত্বের হার এখন ৬.২ শতাংশে উপনীত হয়েছে। এর আগে, এক মাসে এত বেশি লোক কর্মহীন হয় নি।গত এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ায় ৫৯৪,৩০০ ব্যক্তি কর্মহীন হয়েছেন। এর ফলে বেকারত্বের হার ৬.২ শতাংশে পৌঁছে গেছে।উপরের প্রতিবেদনটি শুনতে অডিও প্লেয়ারের লিংকটিতে ক্লিক করুন


করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর অর্থনৈতিক আঘাতটা বেশি লেগেছে কম-বয়সীদের উপরে। বেকারত্বের সার্বিক হারের চেয়ে দ্বিগুণ হার দেখা যাচ্ছে তরুণ-তরুণীদের বেকারত্বের ক্ষেত্রে। তাদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার ১১.৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.৮ শতাংশ হয়েছে।
গ্রিন্স দলের নেতা Adam Bandt বলেন, এই সংখ্যা থেকে বিপর্যয় বোঝা যায়।

এবিসি-র সাংবাদিক Shalailah Medhora প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে জিজ্ঞাসা করেন, ইয়ুথ আন-এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম পর্যালোচনা করার সময় হয়েছে কিনা। যেমন, ইয়ুথ জবস পাথ।মিস্টার মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটা কঠিন দিন। এটা থেকে বুঝা যায়, জবকিপার প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে ছয় মিলিয়ন কর্মী সহায়তা পাচ্ছে, তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।জুনের শেষ নাগাদ এই প্রোগ্রামটি পর্যালোচনা করা হবে। স্কট মরিসন বলেন, তখন এতে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হবে।

ফেডারাল বিরোধী দলীয় নেতা অ্যান্থোনি অ্যালবানিজ বলেন, বেকারত্বের এই সংখ্যা ভয়াবহ। তিনি তার দলের মতোই আবারও জবকিপার স্কিমের সমালোচনা করেন।

ভিক্টোরিয়ায় একটি মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে এবং ম্যাকডোনাল্ডস শপে করোনাভাইরাস ক্লাস্টার বেড়ে চলেছে।
এই স্টেটের ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিনিস্টার Jacinta Allan বলেন, এই রাজ্যে আরও নয়টি নতুন কেস শনাক্ত করা হয়েছে।

সিডনি ওয়েস্টে একটি স্কুলের একজন স্টাফ সদস্যের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসে গত বৃহস্পতিবার নতুন ৪ টি কেস সনাক্ত করা হয়।এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওয়েরিংটন পাবলিক স্কুল ডিপ ক্লিনিং বা ভালভাবে পরিষ্কার করার জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। আক্রান্ত স্টাফ সদস্যের সংস্পর্শে আসা স্টাফ ও শিক্ষার্থীদেরকে সেল্ফ-আইসোলেশনে যেতে বলা হবে।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায়, ১৮ মে সোমবার থেকে সমস্ত শিক্ষার্থী স্কুলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যগত কারণে যে-সব শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারবে না, তাদেরকে সহায়তা প্রদান করা চালিয়ে যাওয়া হবে। তবে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার এডুকেশন মিনিস্টার Sue Ellery বলেন, যারা গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া স্কুলে যাবে না, তারা লার্নিং প্যাকেজ পাবে না।

ভার্জিন অস্ট্রেলিয়ার জন্য কুইন্সল্যান্ড সরকারের একটি বিড বা নিলাম ডাকের প্রস্তাব রাজনৈতিক চাল বলে অভিহিত করে নাকচ করে দিয়েছেন হোম মিনিস্টার পিটার ডাটন।তবে, কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার Annastacia Palaszczuk [[pal-uh-shay]] বলেন, এই এয়ারলাইনটি নিয়ে তার সরকারের আগ্রহের কারণ শুধুমাত্র তার রাজ্যে কর্ম-সংস্থান বজায় রাখা।

ভার্জিন এয়ারলাইনের বেইল আউট প্রত্যাখ্যান করেছে ফেডারাল সরকার। সরকার বলছে, তারা বাজার-ভিত্তিক সমাধান দেখতে বেশি পছন্দ করে।


Share