ইফতিখার সাদিক এসবিএস বাংলায় আপনাকে স্বাগত, প্রথমেই জানতে চাই জবকিপার পেমেন্ট কারা পাবেন? এটি পেতে কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
- জবকিপার পেমেন্ট অস্ট্রেলিয়ার সরকারের অন্যতম প্রণোদনা প্রকল্প ।
এটি পেতে যে যোগ্যতা লাগবে তাতে শর্ত হচ্ছে, নিয়োগদাতাকে (Employer) ১লা মার্চ, ২০২০-এ তার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে সক্রিয় থাকতে হবে, একই সাথে তার অন্তত একজন কর্মী (Employee) থাকতে হবে ।
আরেকটি শর্ত হচ্ছে যেই প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার এক বিলিয়ন ডলারের নীচে, তাদের আয় অন্তত ৩০ ভাগ কম হতে হবে। এটি নির্ধারণ করা হবে গতবছরের একই মাসের আয়ের সাথে এবছরের তুলনা করে। এই কন্ডিশন গুলো যদি এমপ্লয়ার পুরণ কোর্টে পারে তাহলে সরকার তাদের যে পেমেন্টটি দেবে এটিই হচ্ছে জবকিপার পেমেন্ট।
তবে এর সাথে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে যেমন, ওই কর্মীর কাজটি হতে হবে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম, তিনি যদি ক্যাজুয়াল হন তবে তাকে অন্তত ১২ মাস পূর্ব থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী হতে হবে।
এছাড়া ওই কর্মীকে অস্ট্রেলিয়ার পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট বা সিটিজেন হতে হবে, তবে সাবক্লাস ৪৪৪ (Subclass 444) ভিসাধারী যারা আছেন তারাও এই পেমেন্টের জন্য বিবেচিত হবেন।কিভাবে আবেদন করতে হবে?
Iftikhar Sadique Source: Supplied
- সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্সেস বিভাগ তাদের কর্মীদের গাইড করবে তারা পেমেন্ট পাওয়ার যোগ্য কিনা এবং তারাই অস্ট্রেলিয়ান ট্যাক্সেশন অফিসের (ATO) পোর্টালে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাঙ্ক ডিটেলসসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ATO-কে সরবরাহ করতে হবে।
বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকেই সোল্ ট্রেডার হিসেবে কাজ করছেন তারা কিভাবে আবেদন করবেন এবং কি কি শর্ত থাকতে হবে?
- সোল ট্রেডাররাও একই স্কিমের জন্য বিবেচিত হবেন, তাদের কন্ডিশনগুলোও কোন বিজনেসের এমপ্লয়ারদের মতোই, তবে তার কোন কর্মী থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই, সে নিজে পেমেন্টের জন্য আবেদন করতে পারবে। সেইসাথে তার যদি কোন কর্মী থাকেও এবং তারা যদি শর্ত পূরণ করতে পারে তাদের জন্য পেমেন্টের আবেদন করতে পারবে। এই ক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়া একই, সোল্ ট্রেডার ATO-এর পোর্টাল থেকে আবেদন করতে পারবে।
এখানে উল্লেখ্য কর্মী (Employee) ATO থেকে তার পেমেন্ট পাবে তার এমপ্লয়ারের মাধ্যমে, কিন্তু সোল্ ট্রেডার নিজেই তার ব্যাঙ্ক একাউন্টে ATO থেকে তার পেমেন্ট পাবে।
তবে কোন সোল্ ট্রেডার যদি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের পার্ট টাইম বা ফুল টাইম কর্মী হয়ে থাকেন তবে তিনি জবকিপার পেমেন্ট পাবেন না, কিন্তু ক্যাজুয়াল কর্মী হলে পাবেন।
এই জবকিপার পেমেন্টের জন্য কি টাক্স দিতে হবে?
- হ্যাঁ জবকিপারের ইনকাম ট্যাক্সেবল, এজন্য পেমেন্ট গ্রহীতাকে ট্যাক্স দিতে হবে। যে ১৫০০ ডলার তারা পাচ্ছেন তার থেকে ১৯২ ডলার ট্যাক্স কেটে রাখা হবে অর্থাৎ তারা পাচ্ছেন ১৩০৮ ডলার।
জবকিপার পেমেন্টের ধারণাটা কিছুটা জটিল এবং সবার কাছে স্পষ্ট নয়, তাই অনেকেই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে পারেননি। এই বিবেচনায় সরকার এর সময়সীমা ৩১শে মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
তবে কেউ ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করলে এপ্রিলের পেমেন্ট পাবে।
এছাড়া ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার বিষয়টি এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং সোল্ ট্রেডারদের ২০১৮-১৯ সালের ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে, কিংবা ২০১৮ সালের অন্তত একটি বিজনেস একটিভিটি স্টেটমেন্ট বা BAS জমা দেয়া থাকতে হবে।
(সাক্ষাতকারটির মূল বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পুরো সাক্ষাতকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন)
আরও পড়ুনঃ