ভিক্টোরিয়া সরকারের এমার্জেন্সি সাপোর্ট প্যাকেজের আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ১১০০ ডলার পর্যন্ত জরুরি সহায়তা পাবে। এতে রাজ্যের প্রায় ১০,০০০ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে বলে ভিক্টোরিয়া সরকারের এক জানানো হয়।
এতে বলা হয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা রাজ্যের এডুকেশন সিস্টেম, অর্থনীতি এবং কমুনিটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের অবদান ভিক্টোরিয়ার ইউনিভার্সিটিগুলোতে ফি প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মধ্যে জড়িত থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে অবদান রাখছে।
মহামারীর এই সময়টাতে অনেকের মত এই শিক্ষার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা রিটেল এবং হসপিটালিটি খাতের ক্যাজুয়াল কাজ হারিয়ে দৈনন্দিন খরচ মেটাতে সমস্যায় পড়েছে। ফেডারেল সরকারের সহায়তা পাওয়াও তাদের জন্য দুস্কর।
তাই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের খরচ চালানোর জন্য কিছুটা সহায়তা পায়, এজন্য ভিক্টোরিয়া সরকার ৪৫ মিলিয়ন ডলারের স্টুডেন্ট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড গঠন করেছে।
এই ফান্ড থেকে শিক্ষার্থীরা এককালীন একটি পেমেন্ট পাবে, সেই সাথে যারা ব্যতিক্রমি অবস্থায় আছে তাদের জন্যও কিছু জরুরি বিধান রাখা হয়েছে।
ভিক্টোরিয়ার ইউনিভার্সিটি-TAFE সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করা প্রায় ৪০,০০০ শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে কাজ হারিয়েছে, তারা এই রিলিফ পেমেন্ট থেকে যোগ্যতা অনুসারে ১১০০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট পাবে।
ভিক্টোরিয়া সরকারের সহায়তায় গঠিত ইউনিভার্সিটি হার্ডশিপ ফান্ড থেকে পেমেন্টের সাথে স্টাডি মেলবোর্ন স্টুডেন্ট সেন্টার থেকে আইনগত সহায়তা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবাও পাবে।
ভিক্টোরিয়ার সরকারের রেন্ট রিলিফ প্রোগ্রাম থেকে প্রায় ১৫০,০০০ শিক্ষার্থী সাহায্য পাবে যার মধ্যে আছে ২,০০০ ডলার পর্যন্ত সাবসিডি। এছাড়া কাজের জন্য অনুমোদিত শিক্ষার্থীরা যারা কাজ হারিয়েছে তারা ওয়ার্কিং ফর ভিক্টোরিয়া কার্যক্রম থেকে নতুন কাজের জন্য সহায়তা পাবে।
গত অর্থবছরে আন্তর্জাতিক শিক্ষা খাতে ভিক্টোরিয়া রাজ্য ১২.৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল যাতে ৭৯,০০০ জনের কর্মসংস্থান হয়, এই শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ এসেছে চীন, ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, এবং ভিয়েতনাম থেকে।
আরো পড়ুন: