অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা লক্ষ করছেন যে, অস্ট্রেলিয়া জুড়ে কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার হার হ্রাস পাচ্ছে। সেজন্য, অস্ট্রেলিয়ার কোনো কোনো স্থানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা হচ্ছে।ফেডারাল মিনিস্টার গ্রেগ হান্ট বলেন, দেশটিতে সংক্রমণের হার অনেক কমে গেছে।
করোনাভাইরাস বিষয়ক নিষেধাজ্ঞাগুলোর কোনো কোনোটি সতর্কতার সঙ্গে শিথিল করছে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া।
সেখানে কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এ রকম জমায়েত করা যাবে। ইনডোর কিংবা আউটডোরে সর্বোচ্চ ১০ জন পর্যন্ত একসাথে হওয়া যাবে। তবে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো এবং সোশাল ডিস্টেন্সিং বা জন-দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।এভাবে স্টেজ থ্রি রেস্ট্রিকশন্সগুলো শিথিল করা হচ্ছে।
প্রিমিয়ার মার্ক ম্যাকগোয়ান বলেন, কয়েক সপ্তাহ বিচ্ছিন্ন থাকার পর, পরিবার ও বন্ধুবান্ধ এবং বিশেষত বৃদ্ধরা এর মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতে পারবেন।
২৭ এপ্রিল, সোমবার থেকে সেখানে বসবাসকারীরা বিভিন্ন আমোদ-প্রমোদেও অংশ নিতে পারবেন, তবে তা হতে হবে নন-কন্টাক্ট বা পারস্পরিক যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে। এই শর্ত মেনে তারা পিকনিক, ফিশিং, বোটিং, হাইকিং এবং ক্যাম্পিং-এ যেতে পারবেন।একত্রে সর্বোচ্চ ১০ জন পর্যন্ত আউটডোরে ব্যক্তিগত শরীর-চর্চা পুনরায় শুরু করতে পারবেন। তবে, তারা সরঞ্জাম ও উপকরণ অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন না।তবে, পাবলিক এক্সারসাইজ এরিয়া, যেমন, খেলার মাঠ এবং আউটডোর জিমগুলো যথারীতি বন্ধ থাকবে।
বিয়ে-শাদীতে সর্বোচ্চ ১০ ব্যক্তি একত্রিত হতে পারবেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়ও ১০ ব্যক্তির নির্দেশনা বহাল থাকবে।হাউজিং মার্কেটের ক্ষেত্রে সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে। হাউজিং সেল-এর জন্য ওপেন হোম এবং ডিসপ্লে হোম ও ডিসপ্লে ভিলেজ-এর অনুমতি থাকবে।
এসব পরিবর্তন সত্ত্বেও মিস্টার ম্যাকগোয়ান বলেন, করোনাভাইরাসের এখনও গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে, আগামী ১ মে, শুক্রবার মাঝ রাত থেকে কুইন্সল্যান্ডেও কোনো কোনো নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে।ড্রাইভ, জেট স্কি রাইড, মোটরবাইক রাইড এবং পারিবারিক পিকনিকের মতো বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।ন্যাশনাল পার্কগুলোও পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। তবে, দিনের বেলায় ব্যবহারের স্থানগুলো এবং টয়লেটগুলো বন্ধ থাকবে।প্রিমিয়ার অ্যানেস্টেশিয়া প্যালাশে বলেন, অপরিহার্য নয় এ রকম পণ্য-দ্রব্যের কেনাকাটার অনুমতি দেওয়া হবে।
এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ফলে যেন করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাব আরও বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে কুইন্সল্যান্ডবাসীদেরকে।
সেখানকার অধিবাসীরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন। এভাবে ব্যাপকভাবে যাতায়াত করা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া, রাজ্যটির সীমান্ত বন্ধ থাকবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং জন-দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাগুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। আর, মানুষ শুধুমাত্র তাদের ঘরের লোকজনের সঙ্গেই একত্রিত হতে পারবে।সহযোগিতার জন্য মিজ প্যালাশে কুইন্সল্যান্ডের অধিবাসীদের প্রশংসা করেন। তবে, তিনি তাদেরকে সতর্ক করে বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে ভয়ানক পরিণতি হতে পারে।
এদিকে, অ্যানজ্যাক ডে উইক এন্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসে বহু লোক দলে দলে সমুদ্র সৈকতে যান। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সচেতন লোকেরা।
সিডনির র্যান্ডউইক কাউন্সিল এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতগুলো উন্মুক্ত ছিল। দর্শনার্থীরা কুজি, মারোব্রা এবং ক্লোভলি সমুদ্র সৈকতে ভীড় জমায়।সেখানে শুধুমাত্র শরীর চর্চার অনুমতি থাকলেও দর্শনার্থীরা জন-দূরত্ব রক্ষার নিয়মগুলো লঙ্ঘন করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী ব্রাড হ্যাজার্ড এহেন আচরণের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, কাউন্সিলগুলো সঠিক কাজ করার চেষ্টা করছে।
আপনার ভাষায় করোনাভাইরাসের আপডেট পেতে sbs.com.au/coronavirus ভিজিট করুন।