বাংলাদেশী-অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা সালমান আরিফ সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন নিয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। এরপর অভিনয়ের ওপর নাইডা (NIDA)-তে এক বছরের উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি কালেকটিভ ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের সাথে যুক্ত।
'দ্য ট্যাভেরনা' চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এর আখ্যান নির্মিত হয়েছে একটি গ্রিক রেস্তোরায় এক রাতের ঘটনা নিয়ে - যেখানে অনেকগুলো আজগুবি ঘটনা ঘটে। ছবিটিতে তিনি অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এই ছবির সাথে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্মাতা আলকিনুস এর আগে আমার প্রোফাইল দেখে পছন্দ করেন এবং এ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।
সালমান জানান তিনি এর আগে বেশ কিছু শর্ট ফিল্ম এবং মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত একটি শর্ট ফিল্ম প্রায় ৭০টি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শনের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। আগামী বছর এ ব্যাপারে তারা সাড়া পাবেন বলে আশা করছেন।
Bangladeshi actor Salman Arif Source: Salman Arif
তবে সালমান বলেন, একজন অভিবাসী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মূলধারার চলচিত্র বা টিভি সিরিজে অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ নেই। কারণ অস্ট্রেলিয়ার গল্পগুলো মূলত পাশ্চাত্য সমাজ এবং আঙ্গিক নিয়ে রচিত। এখানে দক্ষিণ এশিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় না। তাই কাজের সুযোগও সীমিত। তবে বেশ কিছু ভারতীয় অভিবাসী নির্মাতারা এগিয়ে আসছেন এবং ধীরে ধীরে এর পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করেন এই তরুণ অভিনেতা।
"আমার কাছে সেদিন খুবই ভালো লাগবে যেদিন আমি দেখবো অস্ট্রেলিয়ার সিনেমার কেন্দ্রিয় চরিত্রে একজন সাউথ এশিয়ান অভিনয় করছেন। "
রিসোর্স এবং সুযোগ সীমিত হলেও তিনি ভবিষ্যতে মৌলিক গল্প নিয়ে পূর্ন দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তার ইচ্ছা এখানে সাউথ এশিয়ার পরিপ্রেক্ষিত থেকে ছবি নির্মাণ করা।
"অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী হয়। এই প্রক্রিয়ায় তৈরী হয় অনেক গল্প। এমনি কিছু গল্প নিয়ে আমার ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা।"
তিনি মনে করেন সাউথ এশিয়ার আঙ্গিকে চলচ্চিত্র নির্মিত হলে তা বিপুল পরিমান দর্শককে আকৃষ্ট করবে।
সালমানের অভিনীত 'দ্য ট্যাভেরনা' গ্রিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আগামী রোববার সিডনি এবং মেলবোর্নের দা এসটর থিয়েটারে প্রদর্শিত হবে।
সাক্ষাৎকারটি শুনতে ওপরে অডিও প্লেয়ার টিতে ক্লিক করুন