ভিক্টোরিয়া রাজ্যের বর্ধিষ্ণু এলাকা উইন্ডহাম সিটি বৈচিত্রপূর্ণ এবং বহু ভাষাভাষী অভিবাসীদের জন্য বিখ্যাত।এখানে বসবাসরত মেধাবী উদীয়মান শিল্পীদের সমকালীন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে এমন শিল্পকর্ম নিয়ে উইন্ডহাম সিটির কর্মসূচিকে বলা হচ্ছে 'নিউ'। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এই শিল্প-সংস্কৃতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন।
মাল্টি কালচারাল আর্টস ভিক্টোরিয়ার এমারজ কালচারাল এম্বাসেডার হিসেবে নিযুক্ত বাংলাদেশী অভিবাসী ইমরান আবুল কাশেম একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে উইন্ডহাম আর্ট গ্যালারিতে তার ডকুমেন্টারি ফোটোগ্রাফি বই 'গ্রীন ওয়েজ ' মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ইমরান বলেন, ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক পরিবর্তনগুলো তুলে আনা সম্ভব। সেই চিন্তা থেকেই তিনি বেছে নিয়েছেন 'গ্রীন ওয়েজ ' প্রজেক্টটি, তুলেছেন অনেক ছবি।
Imran Abul Kashem Source: Supplied
"আমি সমাজের বিভিন্ন দিক ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই। তবে এ কাজ করতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন যেমন হয়েছি, তেমনি আবার অনেকের সহযোগিতাও পেয়েছি।"
তিনি জানান, প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে যে পরিমান বই বিক্রি হয়েছে তা ছিল তার প্রত্যাশার বাইরে। সাধারণ মানুষ আমার এই প্রজেক্টে যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে আমি সত্যি মুগ্ধ।ইমরান জানান যে, এই প্রকল্পের জন্য তিনি মাল্টিকালচারাল আর্টস ভিক্টোরিয়া এবং উইন্ডহ্যাম আর্টস এসিস্ট থেকে আর্থিক এবং কারিগরি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন।
Photo: Imran Abul Kashem, Werribee South Source: Supplied
বিভিন্ন আর্টস প্রজেক্টের বাংলাদেশী অভিবাসীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মূলধারায় অনেক কাজ করা সম্ভব। এর মাধ্যমে আপনি আপনার দেশ এবং সংস্কৃতিকে প্রকাশ করতে পারেন।
একজন কালচারাল এম্ব্যাস্যাডার হিসেবে বাংলাদেশী কমুনিটির সদস্যদের তাদের প্রকল্পে সহায়তা করার প্রত্যাশা করেন ইমরান।
মেলবোর্নের পশ্চিমে ওয়েরেবির উইন্ডহ্যাম আর্ট গ্যালারিতে ইমরানের আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত।