সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক অ্যাঞ্জেলা নিকারসন এবং তার দল তিন বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় এক হাজারেরও বেশি শরণার্থীর ওপর জরিপ করেছেন।
তারা দেখতে পান যে, শরণার্থী বা অস্থায়ী ভিসা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হতাশাগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদের মধ্যে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার রয়েছে এবং এতে তারা আত্মহত্যাপ্রবন হয়ে উঠে। এই হার স্থায়ী ভিসা পাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।
অধ্যাপক নিকারসন বলেন যে দীর্ঘকালীন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে জীবনযাপনের প্রভাব সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানা যায়নি।
জর্জ নাজারিয়ান অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অনুভূতিটি কী তা ভালো করে জানেন। ২০১৫ সালে তিনি তার বোনের স্কুলে বোমা হামলার পরে সিরিয়া থেকে পালিয়েছিলেন।
তার পরিবারট লেবাননে পৌঁছানোর পর দু'বছর অস্ট্রেলিয়ায় মানবিক ভিসা পাওয়ার অপেক্ষায় কাটিয়েছিল।
মিঃ নাজারিয়ান বলেন যে তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অনিশ্চিতভাবে অপেক্ষা করছিলেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গ্রাহাম টম বলেন যে এই সমস্যা কেবল অস্ট্রেলিয়ায় থাকা অস্থায়ী ভিসার বেলাতেই শুধু নয়, অফশোর ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা ব্যক্তিরাও একই সমস্যায় আছেন। তিনি এর সমাধানের আহবান জানান।
অধ্যাপক নিকারসন বলেন, নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে শরণার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি মোকাবেলায় আরও বেশি কাজ করা দরকার।
তবে অধ্যাপক নিকারসন বলেন, গবেষণার বাইরে কিছু ইতিবাচক ফলাফল রয়েছে।
এতে দেখা গেছে যে ভিসা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও শরণার্থীরা তাদের স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ বেশি করে থাকেন যা স্থায়ী অভিবাসীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়।
অধ্যাপক নিকারসন বলেন, এইভাবে কমুনিটির সাথে সংযোগ স্থাপন করার ফলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
মিঃ নাজরিয়ান এবং তার পরিবার এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী ভাবে থাকছেন যার জন্য তাকে অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল এবং এই ভিসার কারণে তিনি তার কমুনিটির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন।
মিঃ নাজারিয়ান বলেন যে তিনি এখনও স্বেচ্ছাসেবক, কারণ অন্যকে সাহায্য করা তাঁর জন্যে সবচেয়ে উত্তম কাজ।
আরো পড়ুন: