অস্ট্রেলিয়ায় নভেম্বরের ১৬ তারিখ থেকে চালু হয়েছে দুটি নতুন ভিসা। একটি হচ্ছে স্কিলড ওয়ার্ক রিজিওনাল সাবক্লাস ৪৯১ ভিসা এবং অপরটি স্কিলড এমপ্লয়ার স্পন্সর্ড সাবক্লাস ৪৯৪ ভিসা। বড় বড় শহরগুলো থেকে চাপ কমাতে রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনে উৎসাহিত করছে ফেডারাল সরকার।
এই ভিসার আওতায় যারা অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক এলাকাগুলোতে বাস করছেন তাদের দেখাতে হবে যে তারা অন্তত তিন বছর ধরে বছরে কমপক্ষে ট্যাক্সযোগ্য ৫৩,৯০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার আয় করেছেন। এই শর্ত পূরণ করলেই তারা সাবক্লাস ১৯১-এ পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা স্থায়ী অভিবাসনের আবেদন করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ার মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জন হরিগান সতর্ক করেছেন যে অনেক অভিবাসী আয়ের এই প্রান্তিক মান পূরণ করতে অসুবিধায় পড়বেন এবং এটি তাদের শোষণের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, "এই অভিবাসীরা যেসব রিজিওনাল এলাকায় চাকুরী করবেন সেগুলোর বেশিরভাগই রিটেইল, পর্যটন, হসপিটালিটি এবং কৃষি খাত যেগুলো মূলত পার্ট টাইম বা ক্যাজুয়াল। তাদের পক্ষে ৫৩,৯০০ ডলারের বেতন স্তরে পৌঁছানো কঠিন, তারা হয়তো অতিরিক্ত সময় বা একাধিক কাজ করতে বাধ্য হতে পারেন।"
এদিকে এই টেম্পোরারি মাইগ্রেশন ইনকাম থ্রেশহোল্ড হ্রাস করে ৩০,০০০ থেকে ৪৫,০০০ ডলারের মধ্যে রাখার জন্য ৮,০০০-এরও বেশি লোক মিনিস্টার ফর ইমিগ্রেশন ডেভিড কোলম্যানের কাছে একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে। আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয় যে আঞ্চলিক অস্ট্রেলিয়ায় অস্থায়ী বাসিন্দাদের সাধারণ চাকরীর উপার্জনের তুলনায় প্রস্তাবিত আয়ের সর্বনিম্ন সীমা অনেক বেশি।
হোম অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট বলেছে যে নিয়োগদাতাদের অবশ্যই মার্কেট রেট অনুযায়ী বার্ষিক সম্মানী দিতে হবে যা ভিসা আবেদনকারী এবং তার পরিবারদের অস্ট্রেলিয়ায় খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট হয়।
উল্লেখ্য যে, টেম্পোরারি স্কিল মাইগ্রেশন ইনকাম থ্রেশহোল্ড (টিএসএমআইটি) অস্ট্রেলিয়ান জীবনযাত্রার ব্যয়ের উপর নির্ভর করে একটি জাতীয় গড় হিসাবে ধরা হয়। কিন্তু নতুন আসা অভিবাসীদের জন্য অনেক সময়েই এই গড় উপার্জন সম্ভব হয় না।
মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউট অফ অস্ট্রেলিয়া পার্লামেন্টের অভিবাসন সম্পর্কিত যৌথ স্থায়ী কমিটির কাছে ইনকাম থ্রেশহোল্ড হ্রাস করার ব্যাপারে আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তি দিয়েছে যে টিএসএমআইটি রিজিওনাল এলাকায় শ্রমবাজারের অবস্থা প্রতিফলিত করে না, কারণ বড় শহরগুলির তুলনায় সেখানে মজুরি ও জীবন যাত্রার ব্যয় কম হয়।
প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দেন যে, এই কৃত্রিম ভাবে চাপিয়ে দেওয়া মজুরির সূচক রিজিওনাল এলাকাগুলোতে নিয়োগকারীদের শ্রমিক নিয়োগের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে। এতে কর্মী সংকট সমাধানের লক্ষ্যটি পূরণ হবে না। তারা আরও বলেছে যে অনেক পেশায় সম্মানী টিএসএমআইটির গড় বেতন কাঠামোর অনেক নীচে।
আরো দেখুন :