অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ক্যাবিনেটের এক সভায় বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্ত খুলে দেয়ার বিষয়ে সকল পক্ষ একমত হতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন এই বিষয়ে স্টেট এবং টেরিটোরিগুলো ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। ভাইরাসের ঝুঁকি বিবেচনায় তাদের মতামতও ভিন্ন।
ক্রিস্টমাসের আগেই সীমান্ত খুলতে রাজী স্টেট ও টেরিটরিগুলো, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ‘না’
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ছাড়া সকল রাজ্য ও টেরিটরিগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে বিশেষ করে ক্রিস্টমাসের আগেই বর্ডার খুলে দেয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে।ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার মার্ক ম্যাকগউয়ান বলেছেন, তিনি পরিষ্কার করে বলতে চান যে তার স্টেট ‘হটস্পট মডেলের’ সাথে একমত নয় যেখানে তারা অত্যন্ত সাফল্যের সাথে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
ওই মিটিঙয়ের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য স্থানের মত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে কোন আর্থিক মন্দাবস্থা বিরাজ করছে না। তাই আমরা আগেভাগেই বর্ডার খুলে দিতে চাই না।”
Western Australia Premier Mark McGowan Source: AAP
আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের সংখ্যার সীমা বাড়াতে কেবিনেটে ঐক্যমত্য
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেবিনেট মনে করছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক যারা বাইরে আটকা পড়েছেন।
বর্তমানে প্রতিসপ্তাহে ৪,০০০ মানুষকে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে দেয়ার সীমা রয়েছে, কিন্তু এই মুহূর্তে প্রায় ২৩,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ফিরে আসার অপেক্ষায় আছে।
ভিক্টোরিয়ায় ভাইরাসে নতুন শনাক্ত ৮১, রেকর্ড করা হয়েছে ৫৯ জনের মৃত্যু
ভিক্টোরিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮১ জন করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া ভাইরাসে ৫৯ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মৃতদের ৫০ জন ছিলেন বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা, যারা গত জুলাই এবং অগাস্ট মাসে মারা যান। এ নিয়ে এই ভাইরাসে ভিক্টোরিয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫০ জনে।
সারা অস্ট্রেলিয়ায় ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭৩৭। রাজ্যের প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল এন্ড্রুজ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাজ্যের সীমান্ত খুলে দিলে শনাক্তের সংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
Victorian Premier Daniel Andrews Source: AAP
তিনি বলেন, আগামী রোববার রাজ্যের লকডাউন কিভাবে উঠিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়ে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। তবে তিনি বলেন, তা হতে হবে নিরাপদ ও স্থিতিশীল পন্থায়।
এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলসে ৮ জন নতুন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। সিডনির আরো একটি স্কুলে কভিড ১৯ কেস শনাক্তের যোগসূত্র পাওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে কুইন্সল্যান্ডে গতকাল নতুন কোন ভাইরাস শনাক্ত পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রাজ্যের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছেন।
রাজ্যের প্রিমিয়ার আনাস্তাসিয়া পালুশেই বলেছেন বর্ডার বন্ধ রাখার সমালোচনায় তিনি ভীত নন।
আরও পড়ুনঃ