বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে এমন তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের একটি । ২০১৭ সালে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ৮২১ মিলিয়নে উপনীত হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি নয় জনে একজন ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। আর, ১৫০ মিলিয়ন শিশুর অপুষ্টিতে ভুগছে।
বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বিষয়ক এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের কারণে বিশ্বে স্থুলকায় (ওবিজ) লোকের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে এই সংখ্যা ৬৭২ মিলিয়ন (১৩%)। অর্থাৎ, প্রতি আট জনে একজন স্থুলকায়।
গত তিন বছর ধরেই ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ২০১৭ সালে আফ্রিকায় মোট ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ২৫৬.৫ মিলিয়ন। এশিয়ায় এই সংখ্যা ৫১৫ মিলিয়ন। আর, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয় অঞ্চলে এই সংখ্যা ৩৯ মিলিয়ন।
জাতিসংঘের এই বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে, যার প্রভাব পড়েছে শস্য উৎপাদনে। এছাড়া, তীব্র খরা, বন্যা ইত্যাদির কারণেও বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।বিশ্ব জুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৫০.৮ মিলিয়ন (২২.২%) শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে না। বয়স অনুপাতে এদের উচ্চতা কম।এদের বামনত্ব রোধ করার ক্ষেত্রে খুব বেশি কাজ হয় নি বলে জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
In this Aug. 25, 2018 photo, a man feeds children Halas, a climbing vine of green leaves, in Aslam, Hajjah, Yemen. Source: AP Photo/Hammadi Issa
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে উচ্চতা অনুপাতে কম ওজনের শিশুর সংখ্যা ৫০.৫ মিলিয়ন (৭.৫%)।এশিয়ায় পাঁচ বছরের নিচে প্রতি দশ জন শিশুর মধ্যে পাঁচ জনেরই ওজন তাদের উচ্চতার তুলনায় কম। এই সংখ্যা লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয় অঞ্চলে প্রতি ১০০ জনে এক জন।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে উচ্চতা অনুপাতে বেশি ওজনের শিশুর সংখ্যা ৩৮.৩ মিলিয়ন (৫.৬%)।
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কৃষি উন্নয়নের আন্তর্জাতিক তহবিল।