১৬ বছর ধরে সিডনির ফেয়ারফিল্ডে বসবাস করছেন রাশা ড্যানিয়েল।
২০০২ সালে ইরাক থেকে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করেন। অবসরের বেশিরভাগ সময়ে তিনি কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন।
তিন সন্তানের মা রাশা ড্যানিয়েলের অন্তত তিনটি বৈশিষ্ট্য বেশি দেখা যায় ফেয়ারফিল্ড লোকাল গভার্নমেন্ট এরিয়ার লোকজনের মাঝে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
ফেয়ারফিল্ডের বাসিন্দাদের মাঝে স্বেচ্ছা-সেবা, বিনা-পারিশ্রমিকে অন্যের সেবা-যত্ন করা এবং উদারতা প্রদর্শনের এই বিষয়গুলোকে খুবই প্রশংসনীয় গুণ বলে মনে করেন সেন্টার ফর ওয়েস্টার্ন সিডনির ডাইরেক্টর, ড. অ্যান্ডি মার্কস। তিনি বলেন, গ্রেটার সিডনির অন্যান্য এলাকার তুলনায় এই এলাকার লোকজন অনেক বেশি স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন।
ফেয়ারফিল্ড এলাকায় প্রায় ২ লাখ (২০০,০০০) লোক বসবাস করেন। সিডনির সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ প্রাদূর্ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে এখন বিভিন্ন কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৈচিত্রপূর্ণ একটি এলাকা হলো ফেয়ারফিল্ড।
সর্বশেষ সেনসাস রিপোর্টে দেখা যায়, সেখানকার ৭৮ শতাংশ বাসিন্দাদের বাবা-মায়ের জন্ম হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে। আর, ৭৫ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা ঘরে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন।
ফেয়ারফিল্ড এলাকায় আসিরিয়ান শরণার্থীরা বহুল সংখ্যায় বসবাস করেন।
ফেয়ারফিল্ডের স্টেট মেম্বার গাই জাঙ্গারি বলেন, এই এলাকায় বহু জাতির লোকেরা বসবাস করেন আর তারা কঠোর পরিশ্রমী।
এই এলাকার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পরিবার ও সমাজের সঙ্গে শক্তিশালী সংযোগ।
একই ছাদের নিচে বসবাসকারীদের সংখ্যা সিডনির বাকি অংশের তুলনায় ফেয়ারফিল্ডে বেশি।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংখ্যাবিদ ড. লিজ অ্যালেন বলেন, সিডনির ব্যয়-বহুল জীবন যাত্রাও এর জন্য আংশিক দায়ী।
ফেয়ারফিল্ডের বাসিন্দাদের বয়সের মিডিয়ান বা মধ্যবর্তী বয়স হলো ৩৬ বছর, যা সিডনি থেকে কম।
এখানকার ৫৬ শতাংশ লোক পূর্ণকালীণ এবং ২৮ শতাংশ লোক খণ্ডকালীন কাজ করেন।
বেশিরভাগ কর্মীরা কাজ করেন সুপারমার্কেট, গ্রোসারি স্টোর, হাসপাতাল, ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট এবং ব্যাংক ও পণ্য-পরিবহনের ক্ষেত্রে।
মিস্টার জাঙ্গারি বলেন, এ কারণে এখানকার বেশিরভাগ লোক ঘরে থেকে কাজ করতে পারেন না।
ড. মার্কস বলেন, কোভিডের কারণে এই এলাকাটির সামাজিক অসাম্য প্রকাশ পেয়েছে। অনগ্রসরদেরকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য সরকারের সামনে সুযোগও এনে দিয়েছে কোভিড।
ফেয়ারফিল্ডের রাস্তাগুলো কোভিডের কারণে এখন সেগুলোর স্বাভাবিক রূপ হারিয়েছে। তবে, রাশা মনে করেন, অচিরেই এগুলো আগের জৌলুস ফিরে পাবে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আরও দেখুন:
কাঙ্ক্ষিত কাজের সন্ধানে