আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে শরণার্থী-শিশুদের জন্য কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করেন বুরুন্ডির শরণার্থী এলা ইনারহেজ-ওয়ে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান। তিনি বলেন, শিক্ষার মানে হলো আশা।
বহু শরণার্থীর সংঘাত ও সহিংসতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এগুলো তাদের শিক্ষাগ্রহণকে আরও কঠিন করে তোলে।
কোনো একটি দেশে এসে বসবাস করতে চাইলে নবাগতদেরকে প্রমাণ করতে হয়ে যে, তারা সেই দেশের জাতীয় ভাষায় পড়তে, লিখতে এবং বলতে পারে।
শরণার্থী শিশুদেরকে সামাজিক ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা প্রদান করে অমল অ্যালায়েন্স। এর ডাইরেক্টর ড্যানিয়েল ডি লা ফুয়েন্টে বলেন, এর মাধ্যমে শিশুরা তাদের বিভিন্ন আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
সংখ্যালঘুদের ভাষাগত বিভিন্ন ইস্যুর বিশেষজ্ঞ কার্ক পার্সন এস-আই-এল ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ করেন। এটি একটি আন্তর্জাতিক বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, শিশুদেরকে তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদান করাটা অনেক জরুরি।
অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী পটভূমির শিশুদের নিয়ে এ বিষয়ে কাজ করছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন কমিউনিটি সংগঠন, ইউনিয়ন এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীকে একত্রিত করছে সিডনি অ্যালায়েন্স। কাউন্সিলের চাইল্ডহুড সেন্টারগুলোর অব্যবহৃত স্থানে আশ্রয়প্রার্থী পরিবারগুলোর শিশুদেরকে সুযোগ দিতে সিডনির ক্যান্টারবেরি-ব্যাংকসটাউন কাউন্সিলে একটি প্রচারাভিযান চালাচ্ছে তারা।
এই ক্যাম্পেইনের কো-চেয়ার মিজ অ্যালেক্স হোগান বলেন, শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে আর্লি ও প্রি-স্কুলের বছরগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।